TRENDING:

HS Exam 2025: বাবা নেই, পান দোকান সামলে উচ্চমাধ্যমিক! আলিপুরদুয়ারের পরীক্ষার্থীর অদম্য লড়াই মন ছুঁয়ে গেল সকলের

Last Updated:

West Bengal WBCHSE HS Class 12th Exam 2025: অদম্য চেষ্টা দেখে বলায় যায়, 'ইচ্ছেটাই আসল কথা'। যে পরীক্ষার্থীর কথা বলা হচ্ছে তার নাম শুভদীপ পাল, সে কলা বিভাগের এক ছাত্র।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
আলিপুরদুয়ার, রাজকুমার কর্মকার: এভাবেও পড়াশোনা করা যায়, এভাবেও পরীক্ষায় বসা যায়। হ্যাঁ, বিশ্বাস না হলেও এমনই দৃষ্টান্ত তৈরি করতে দেখা গেল এক উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে। যে পরীক্ষার্থী পান দোকান সামলে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেছে। তার এই অদম্য চেষ্টা দেখে বলায় যায়, ‘ইচ্ছেটাই আসল কথা’। যে পরীক্ষার্থীর কথা বলা হচ্ছে তার নাম শুভদীপ পাল, সে কলা বিভাগের এক ছাত্র।
পান দোকান সামলাচ্ছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী
পান দোকান সামলাচ্ছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী
advertisement

আলিপুরদুয়ার শহরে পাঁচ নং ওয়ার্ডের আনন্দ নগর এলাকার বাসিন্দা সে। বাবা অসুস্থ থাকায় ছোট বেলা থেকেই বাবাকে পান দোকানে সহযোগিতা করত। তবে প্রায় দুই বছর আগে শুভদীপের বাবা মারা যাওয়ার পরে একাই দোকান সামলায় শুভদীপ।সকালে পড়াশোনা করার পর সারাদিন দোকানে কেটে যায়। দুপুরের খাবারের সময় অবশ্য আধ ঘন্টা দোকান বন্ধ থাকে।

advertisement

আরও পড়ুন: অশান্ত নেপাল, এদিকে বড্ড চিন্তায় বীরভূমের ডাক্তার, ঘুম উড়েছে রাতের! কেন জানলে চমকে যাবেন

আলিপুরদুয়ার শহরে মনোজিত নাগ বাস টার্মিনাসে ঠেলা গাড়িতে ছোট দোকান।সেখানে এক পাশে বসে পান ,সুপারি বিক্রি করে। সারা দিতে এক-দেড়শো টাকা উপার্জন হয়। আর তাতেই পড়াশোনা ও কম্পিউটার ক্লাসের খরচ চলে। বাকি টাকা সংসারের জিনিসপত্র কিনতেই চলে যায়। ছেলের উপার্জনে সংসার চলে না তাই শুভদীপের মা সুপ্রিয়া পাল পরিচারিকার কাজ করেন। সকালে পরীক্ষার জন্য বেড়িয়ে পড়া। আবার পরীক্ষার শেষে হতেই দোকানে দেখা যায় তাকে। যেদিন পরীক্ষা থাকে না সেদিন সকাল ৮টার পর থেকেই দোকান সামলাতে ব্যস্ত সে।

advertisement

আরও পড়ুন: পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে দিনের পর দিন দাদাগিরি! ভাঙল ধৈর্যের বাঁধ, তারপর যা করলেন বাসিন্দারা

পরনের প্যান্ট ছেঁড়া হলেও পড়াশোনা করে বড় হওয়ার স্বপ্নটা দৃঢ়। শুভদীপের কথায়, বাবা মারা যাওয়ার পর পড়াশোনার খরচ কীভাবে চলবে বুঝে উঠতে পারছিলাম না।তবে পান সুপারি বিক্রি করে পড়াশোনার খরচ চলে যায়। দোকানের জন্য সারাদিন বই পড়া সম্ভব হয়না। সকাল ও সন্ধ্যার পরেই পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব।

advertisement

কলা বিভাগের ছাত্র। শুভদীপের বাংলা, ইংরেজি ছাড়াও দর্শন, শিক্ষা বিজ্ঞান, ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয় রয়েছে। প্রথম দিনের পরীক্ষা ভাল হয়েছে। পাশাপাশি বাকি পরীক্ষা নিয়েও আশাবাদী সে। শুভদীপের মা সুপ্রিয়া পালও ছেলের পড়াশোনার আগ্রহ দেখে খুশি। ছেলের যাতে সুবিধা হয় তারজন্য নিজেও উপার্জন করেন। অনেক সময় দোকানেও শুভদীপকে পড়াশোনা করতেও দেখা যায় বলে স্থানীয় দোকানদাররা জানান।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
HS Exam 2025: বাবা নেই, পান দোকান সামলে উচ্চমাধ্যমিক! আলিপুরদুয়ারের পরীক্ষার্থীর অদম্য লড়াই মন ছুঁয়ে গেল সকলের
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল