আরও পড়ুন: ন্যাশনাল স্কুল গেমসে হ্যান্ডবলে সুযোগ দুই স্কুল পড়ুয়ার
পশ্চিমবঙ্গ কৃষি দফতর এবং আন্তর্জাতিক আলু গবেষণা কেন্দ্রের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে রাজ্যের যে আলু বীজের চাহিদা রয়েছে তা মেটাতেই এই নতুন উদ্যোগ। এই নতুন পদ্ধতিতে এখন থেকে আর আলু লাগিয়ে বীজ উৎপাদনের দরকার পড়বে না। এবার থেকে চারা গাছ লাগিয়ে নতুন প্রযুক্তিতে স্বল্প সময়ে অনেক সংখ্যক বীজ উৎপাদন করা যাবে। এই নতুন পদ্ধতিকে বলা হয় এপিকাল রুটেড কাটিং অর্থাৎ চারা লাগিয়ে বীজ উৎপাদন।
advertisement
এই প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি বিভাগের সহকারী কৃষি পরিচালক ডঃ মেহফুজ আহমেদ বলেন, আমরা প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য আন্তর্জাতিক আলু কেন্দ্রের সঙ্গে সহযোগিতা করেছি। বীজ থেকে আলু জন্মায়, কিন্তু এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আলুর বীজ টিস্যু কালচারের মাধ্যমে তৈরি করা হবে। কোফাম বিভাগে টিস্যু কালচার ল্যাবরেটরি রয়েছে। তাই আমরা এই প্রকল্পের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে বেছে নিয়েছি। এখানে যে বীজ উৎপন্ন হবে তা কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, কৃষকদের দেশের অন্যান্য রাজ্য থেকে আলু বীজ কিনতে হয়। এতে পরিবহণ খরচ বেড়ে যায়। উত্তরবঙ্গে যদি আমরা এখানে বীজ চাষ করতে পারি তাহলে সাধারণত উৎপাদন খরচ কমে যাবে। এতে আলুর বাজারদরও কমবে। এর ফলে সুবিধা হবে সাধারণ ক্রেতাদের।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
এই প্রসঙ্গে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোফাম বিভাগের অফিসার ইনচার্জ অমরেন্দ্র পান্ডে বলেন, এই নতুন পদ্ধতিতে আলু চাষের জন্য উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোফাম বিভাগের গ্রিন হাউসে একটি প্রদর্শনীর জায়গা করা হয়েছে। এর পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা কৃষকদের নতুন পদ্ধতিতে আলুর বীজ চাষের সমস্ত বিষয়গুলির উপর তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রায় দুই বছর আগে, প্রাথমিকভাবে কৃষি বিভাগ জলপাইগুড়িতে প্রক্রিয়াটির একটি পরীক্ষা হয়েছিল। ২৮ ডিসেম্বর হরিয়ানা থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার টিস্যু আনা হয়। তারপর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০০ টিস্যু দিয়ে চাষ শুরু হয়।এই এআরসি প্রক্রিয়ায় প্রথমে টিস্যু কালচার করতে হয়। তারপর চারাগুলোকে টুকরো টুকরো করে কেটে নিতে হবে। এরপর রুটেক্স হরমোন ব্যবহার করে তারপর কোকোপিটে চারা রোপণ করতে হবে। প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ করতে প্রায় ৭৫ থেকে ৯০ দিন সময় লেগেছে।
অনির্বাণ রায়