বর্ষাকালে আলিপুরদুয়ার জেলার তোর্ষা, কালজানি, বাসরা সহ বিভিন্ন ছোট-বড় নদীতে দেখা যায় নদীয়ালি মাছের সমাহার। মেচ সমাজে বর্ষাকালে মাছ শিকার একটি উৎসবের মত পালিত হয়।বর্ষাকাল শুরু হলে মেচ পাড়ায় গেলে দেখা যায় খলুই প্রস্তুতির কাজ। মেচ জনজাতির সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলি হয় অত্যন্ত রঙিন। বিলুপ্তপ্রায় হলেও বর্ষাকালের শেষের দিকে একটি অনুষ্ঠান হয়। যে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন মেচ মহিলারা। এই সময় নদীতে বেড়ে ওঠা মাছ শিকারের জন্য তাঁদের সম্প্রদায়গত বিশেষ নাচ-গান আছে। সেটা হল না-গুরনায়।
advertisement
আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দরে ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট! পরিদর্শনে সাংসদ
সামনে মাছ রাখার পাত্র রেখে সেই ঐতিহ্যবাহী নাচ হয়। মাছ রাখার পাত্র খলুই তৈরি হয় কচি বাঁশ দিয়ে।হাতের কাজে নিপুণ হলে একদিনে ৫ টি খলুই প্রস্তুত সম্ভব। অনেকটা বটুয়ার মত হয় এই খলুই। ছোট মাছ এই খলুইয়ে ভরে আনা হয়।
মেচ জনজাতির পুরুষরা এই বর্ষাকালে নদীতে জাল ফেলে মাছ ধরেন। এই খলুইয়ে রাখা হয় ধরা মাছ। মাছ বেরিয়ে যেতে পারে না এই পাত্র থেকে। বাজারে এই পাত্রটি বিক্রি হয় এক একটি ৪০-৫০ টাকায়। যদিও বর্তমানে এই খলুইয়ের ব্যবহার খুব কম হয়। কিন্তু আজও মেচ সম্প্রদায়ের বহু মানুষ নিজেদের সংস্কৃতি বজায় রাখার জন্য তৈরি করেন খলুই।
অনন্যা দে