জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাধানগর গ্রাম সংসদের ফাঁকা মাঠে এই বর্জ্য নিষ্কাশন কেন্দ্র তৈরি করেছে। পঞ্চায়েত থেকে আট জন কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। যারা পচনশীল এবং অপচনশীল বর্জ্য আলাদা করার কাজে নিযুক্ত রয়েছে। সপ্তাহে তিনদিন এক একটি গ্রামে এই সমস্ত জঞ্জালবাহী গাড়িগুলি জঞ্জাল সংগ্রহে যায়। গ্রামবাসীদের দাবি, আগে যেখানে প্লাস্টিক তাঁরা ফেলে দিতেন বা তাদের অজান্তেই কোন রকমে এসে মাঠে পড়ত, তাতে চাষের যেমন ক্ষতি হত তেমনই মাটির উর্বরতা শক্তি ও দ্রুত নষ্ট হয়ে যেত। চাষ দেওয়ার পর প্লাস্টিক কুড়িয়ে তুলতে অতিরিক্ত শ্রমিক নিয়োগ করতে হত। কিন্তু বিগত ছয় মাসে সেই সমস্যা মিটে গেছে অনেকটাই। এখন আর বাড়িতে জমে থাকা প্লাস্টিককে কেউ আগুনও লাগায় না। আর মাটিতে ফেলেও দেয় না।
advertisement
আরও পড়ুন: কখনও ভাড়া ঘর, কখনও অন্য কোথাও! যাযাবরের মত ঘুরে ঘুরে ক্লাস চলছে রাজ্যের এই বিশ্ববিদ্যালয়ে
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পঞ্চায়েতের গাড়ি গিয়ে সেই সমস্ত বর্জ্য তুলে নিয়ে আসে আর এই প্রকল্প চালু হওয়ায় খুশি হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গ্রামবাসীরা এতদিন যে প্লাস্টিক জমানোর পর পুড়িয়ে ফেলতেন এখন আর না পুড়িয়ে পঞ্চায়েতের পাঠানো গাড়িতেই তুলে দেন। মাত্র কয়েক মাসেই এলাকার পরিবেশ ফিরতে শুরু করেছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে পঞ্চায়েতের বর্জ ব্যবস্থাপনায় উন্নতি ঘটবে। পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে থাকা ছাড়াও স্থানীয় গ্রামবাসীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখতে এই উদ্যোগ কার্যকরী ভূমিকা নেবে।
সুস্মিতা গোস্বামী