অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় আবেদন করেও পাননি বাড়ি। পেট চালাতে কখনও মাটি কাটছেন, কখনও বা ইটভাটায় কাজ করছেন৷ প্রাক্তন প্রধান হয়েও বর্তমানে তিনি দিনমজুর৷ বর্তমানে এলাকাতেই পূর্ত দফতরের রাস্তার কাজে শ্রমিকের কাজ করছেন৷ তাঁর এই দশা জানে সবাই৷ কিন্তু এখনও পর্যন্ত কেউ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়নি৷ প্রাক্তন প্রধান দিপালী মণ্ডল বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগ শুনে কাজ করেছি পরিষেবা দিয়েছি। নিজের জন্য কিছুই করতে পারিনি। এখন সরকারি ঘরের জন্য আবেদন করেও পাচ্ছি না। অর্থাভাবে শ্রমিকের কাজ করছি।’’
advertisement
২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত পুরাতন মালদহের ভাবুক পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন দীপালি মণ্ডল৷ তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। সততার জন্য এলাকায় যথেষ্ট নামডাক রয়েছে তাঁর৷ দক্ষতার সঙ্গে দু’বছর প্রধানের দায়িত্ব সামলেছেন৷ তারপর অবশ্য দল তাঁকে আর টিকিট দেয়নি৷ এদিকে দীর্ঘদিন আগেই স্বামী বীরেন মণ্ডল তাঁকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন৷ কয়েক বছর আগে একমাত্র ছেলে সঞ্জীবও বিয়ে করে বউ নিয়ে আলাদা হয়ে গিয়েছে৷
আরও পড়ুন : গাজর খেলে কি ব্লাড সুগার বাড়বে চড়চড়িয়ে? কাঁচা নাকি রান্না করা? কোন গাজর খেলে বিপদ নেই ডায়াবেটিসে? জানুন
তারপর থেকে রাঙামাটিয়া গ্রামে বাবা অবিনাশ মণ্ডলের বাড়িতেই থাকেন দীপালি৷ তাঁর বাবার বয়স ৮০ বছর৷ কাজ করতে পারেন না৷ পেট চালাতে সেই কাঁচা বাড়ির সামনে ছোট একটি চায়ের দোকান দিয়েছেন৷ সেই দোকানও খুব একটা চলে না৷ তাই শ্রমিকের কাজই এখন দীপালিদেবীর ভরসা৷ ভাবুক পঞ্চায়েতের বর্তমান প্রধান প্রভুনাথ দুবে বলেন, ‘‘বিষয়টি আমার জানা আছে। ঘরের জন্য আবেদন করেছেন কিন্তু এখনও পাচ্ছেন না। তিনি শ্রমিকের কাজ করছেন। দেখে খুব খারাপ লাগছে। আমরাও চাই তিনি সরকারি প্রকল্পের ঘর যেন পান।’’
কিছুদিন ধরে রাঙামাটিয়া গ্রামে রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু করেছে পূর্ত দফতর৷ বর্তমানে সেখানে নিয়মিত শ্রমিকের কাজ করছেন তিনি। সরকারি ঘরের জন্য আবেদন করেছেন। কিন্তু এখনও তিনি পাননি। বর্তমানে প্রাক্তন প্রধানের আবেদন, তাঁকে যেন সরকারি ঘর দেওয়া হয়। কারণ বাবাকে নিয়ে খুব কষ্টে ভাঙাচোরা বাড়িতে দিন কাটাচ্ছেন।