এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ দিন সকালে শোরগোল পড়ে গেল কোচবিহারের মহিষকুচি গ্রামে৷ ভ্যাকসিন নিতে নারাজ সরকারি প্রাথমিক স্কুলের ওই শিক্ষকের নাম সুবোধ কর৷ অভিযোগ, এখনও করোনা টিকার একটিও ডোজ নেননি ওই শিক্ষক বা তাঁর স্ত্রী৷ গ্রামের স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মীরা প্রায় এগারো বার বাড়ি গিয়ে টিকা নেওয়ার জন্য সুবোধবাবুকে তাগাদা দিয়েছেন৷ কিন্তু এখনও তিনি বা তাঁর স্ত্রী টিকা নেননি৷
advertisement
আরও পড়ুন: শীর্ষে কলকাতা, ৯ জেলায় দ্বিতীয় ডোজ না নেওয়ার প্রবণতা সর্বাধিক! চিন্তায় নবান্ন
শেষ পর্যন্ত এ দিন সকালে গ্রামের মহিলারাই ওই শিক্ষকের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে টিকা নেওয়ার জন্য বোঝাতে শুরু করেন৷ কিন্তু বক্সিরহাট বাঁশরাজা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওই শিক্ষক পাল্টা বলেন, ভ্যাকসিন নিতেই হবে এমন লিখিত নির্দেশিকা তাঁকে দেখাতে হবে৷ এই নিয়েই দু' পক্ষের মধ্যে শুরু হয় বচসা৷
আরও পড়ুন: চায়ের দোকানে আর আড্ডা নয়, টানা সাত দিন বন্ধের নির্দেশ বর্ধমানে
শেষ পর্যন্ত ওই শিক্ষকের বাড়ির মূল দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেন গ্রামবাসীরা৷ তাঁরা স্পষ্ট বলেন, ওই শিক্ষক এবং তাঁর স্ত্রী টিকা না নেওয়ায় তাঁদের মধ্যে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে৷ তাই যতদিন না পর্যন্ত ওই শিক্ষক এবং তাঁর স্ত্রী টিকা নেবেন না, তাঁদের বাড়ি থেকে বেরোতে দেওয়া হবে না৷
বিক্ষোভকারী এক গ্রামবাসী ললিতা সরকার বলেন, 'আমরা গ্রামের সাধারণ মানুষ প্রত্যেকে টিকা নিয়েছি৷ অথচ উনি একজন শিক্ষক হয়ে টিকা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা বুঝতে চাইছেন না৷ তাই আমরা আজ ওনার বাড়ির দরজায় তালা ঝুলিয়ে দিয়েছি৷' মহিষকুচি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আধিকারিক নীলিমা সরকার বলেন, 'আমরা এগারো বার ওই শিক্ষকের বাড়িতে গিয়েছি৷ কিন্তু উনি ভ্যাকসিন নিতে রাজি হননি৷'
এ দিনও অবশ্য নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসেননি ওই শিক্ষক এবং তাঁর স্ত্রী৷ গ্রামবাসীদের তাঁরা পাল্টা প্রশ্ন করেন, 'টিকা নিতে হবে তাঁর লিখিত নির্দেশ কোথায়?'
Prabir Kundu