পশু চিকিৎসক সংগঠনের জেলা সম্পাদক ডঃ অজগর আলী মন্ডল জানান, “এদিন প্রায় ২০০ টি পথ পশুদের অ্যান্টি রেবিস টিকা দেওয়া হয়েছে। আমাদের মূল লক্ষ্য পৃথিবী থেকে জলাতঙ্ক রোগ দূর হোক। তার জন্য প্রয়োজন অনিয়ন্ত্রিত জন্ম রোধ।”
advertisement
রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো সারমেয়দের জন্মহার নিয়ন্ত্রণ করতে বেগ পেতে হয় স্থানীয় পুরসভা থেকে প্রশাসনের। যদিও প্রাণী স্বাস্থ্য কেন্দ্রের তরফে মাঝেমধ্যে উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবুও তা সীমিত। যার ফলে বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে রাস্তায় পথপশুদের সংখ্যার ব্যাপকতা চরম আকার ধারণ করে। গাড়ি চাপা পড়ে মৃত্যু হয় প্রচুর পথপশুর। এর আগে বিভিন্ন রাজ্যে পথপশুদের মৃত্যুর সিদ্ধান্ত পর্যন্ত নিতে হয়েছে। কিন্তু এখন তাদের নির্বীজকরণ করলেই জন্মহার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। তবে সেই প্রক্রিয়ার খরচ যথেষ্টই ব্যয়বহুল। একটি পুরুষ সারমেয়কে নির্বীজীকরণ করলে গড়ে ৩৫০০ টাকা খরচ রয়েছে। তারপরে যত্ন ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল চিকিৎসা প্রয়োজন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বালুরঘাটের পশুপ্রেমী ব্রতীন চক্রবর্তী বলেন, “এদিন অনেক পথ কুকুরদের নিয়ে গিয়ে আমি জলাতঙ্ক রোগ আটকাতে টিকা করিয়ে নিয়ে এসেছি। এই উদ্যোগের ফলে অনেক উপকার হয়েছে। তাঁরা বিনামূল্যে নির্বীজকরণ করিয়েছে। শুধু পরে ১০০ টাকা মূল্যের অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়াতে হবে। আগামীতে পাড়ায় পাড়ায় নির্বীজকরণ চলার কথা বলা হয়েছে।”
জানা গিয়েছে, খরচ সাপেক্ষ সেই নির্বীজকরণ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণরূপে বিনামূল্যে করা হবে বালুরঘাট প্রাণী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। পাশাপাশি, জলাতঙ্ক রোগ সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করতে এদিন ২০০ টির উপরে পথপুকুরদের অ্যান্টি রেবিস টিকা দেওয়া হয়েছে। এদিনের অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ব্লকের লাইভ স্টক ডেভেলপমেন্ট অফিসার সহ উদ্যোক্তা সংস্থার পদাধিকারী ও সদস্যরা উপস্থিত হয়েছিলেন। এদিন শল্য চিকিৎসক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডঃ পলাশ হাঁসদা। এদিন প্রাথমিকভাবে ছয়টি পথ কুকুরদের বন্ধ্যাত্বকরণ করা হয়েছে। এর ফলে আগামীতে তাদের জন্মহার নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
সুস্মিতা গোস্বামী





