বর্তমানে দোকানে বেশি সময় দেন নীরজ কুমার ভগৎ। বাবা,ঠাকুরদার কাছ থেকে পান তৈরির কৌশল ছোট থেকেই শিখে নিয়েছিলেন তিনি।এখন ভাইদের সেই কৌশল শেখান তিনি। নীরজ বাবুর কথায় পান তৈরি একটি শিল্পের মত।একটি পানে কতটুকু চুন, সুপারি, খয়ের ও অন্যান্য সামগ্রী লাগবে তা বুঝে শুনে দিতে হয়।ঠিক যেন রান্নায় নুন ও মশলা দেওয়ার মতো।ক্রেতাকে এমন পান খাওয়াতে হবে যে তার যখন পান খাওয়ার কথা মনে পড়বে তখনই যেন তিনি ছুটে আসেন এই দোকানে।
advertisement
আরও পড়ুন Knowledge story: পোষ্য একেবারে সিংহীর আকারের, দেখেছেন কখনও এত বড় কুকুর
নীরজ কুমার ভগত জানান,”ছোটবেলা থেকে পান তৈরি করি।বাবার থেকে শিখেছিলাম।আগে মিঠে পান,বিভিন্ন মশলা দিয়ে স্পেশাল পান তৈরি করতাম।এখনও তা করি।কিন্তু সময় পালটেছে সবাই এক্সপিরিমেন্ট করেন খাওয়ার নিয়ে।আমি পান নিয়ে করেছি।ফায়ার ও আইস পান তৈরি করে দিচ্ছি ক্রেতাদের।তারা যথেষ্ট প্রশংসা করেন।”
কালচিনি নাম এলেই ভগৎ-দের পানের দোকানের কথা মনে পড়ে সকলের ।ভগৎ-দের দোকান ল্যান্ডমার্কে পরিণত হয়েছে।মিঠে পান থেকে শুরু করে কেশর পান, আইস পান, ফায়ার পান, চকোলেট পান, জেলি পান সব মেলে এই দোকানে।পাঁচ টাকা থেকে দুশো টাকাতে মেলে পান এখানে। হাসিমারা,আলিপুরদুয়ার থেকে পানবিলাসীরা আসেন এই দোকানে পান খেতে।পর্যটকেরা এই রাস্তা দিয়ে গেলে দাঁড়িয়ে যান ভগৎ-দের দোকানে।পান খেয়ে তৃপ্ত হওয়ার পরই তারা যান তাদের গন্তব্যে।
Annanya Dey