উদয়ন গুহ বলেন, ‘সংসারে শাশুড়ি আগে আসে বউ পরে আসে৷ আস্তে আস্তে বউ সংসার সামলানোর দায়িত্ব হাতে নিয়ে নেয়৷ শাশুড়ি আঁচল থেকে চাবিটা খুলে বৌমার হাতে তুলে দেন৷ শাশুড়ি তো এ কথা বলেন না যে বৌমার দেওয়ানিগিরি চলবে না কারণ বৌমা পরে এসেছে আমি আগে এসেছি৷ শাশুড়ি যখন বোঝে যে আমার কোমরের জোর কমে গিয়েছে তখন শাশুড়ি চাবিটা নিজেই বৌমার হাতে তুলে দেন৷’
advertisement
আরও পড়ুন: বাবার প্রেমিকাকে কুপিয়ে খুন করল নাবালক, ইএম বাইপাসের উপরে হাড় হিম করা ঘটনা! ধৃত ৩
মেখলিগঞ্জের ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন উদয়ন শিবিরের নেতা হিসেবে পরিচিত কোচবিহারের জেলা তৃণমূল সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক৷ তাঁর নাম করেই উদয়ন এর পর বলেন, ‘আমাদের দলের ভিতরে যে শাশুড়িরা আছেন তাঁদের বলব সংসারের চাবিটা আমাদের বাড়ির সবথেকে নতুন বউ অভিজিৎ দে ভৌমিকের হাতে তুলে দেওয়া৷ তাতে দলটা শক্তিশালী হবে৷’
রাখঢাক না করেই এর পর কোচবিহারে তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কথা প্রকাশ্যে আনেন উদয়ন৷ তিনি বলেন, ‘এই জেলার কিছু নেতা আমার নাম দিয়েছে লাল তৃণমূল৷ হ্যাঁ আমার শরীরের প্রত্যেকটি রক্তবিন্দুর রং লাল৷ বিজেপি যখন মেরে আমার হাত ভেঙে দিয়েছিল, ডাক্তার যখন কলকাতায় অপারেশন করে লোহার রড ঢুকিয়ে হাতটা জোড়া লাগিয়েছিলেন, তখনও লাল রংয়ের রক্তই বেরিয়েছিল৷ রক্তের রং কখনও সবুজ করা যায় না৷ রক্তের রংটা লালই থাকে৷ তা সে ১৯৯৮ সালের তৃণমূলী হোক বা আমার মতো ২০১৫ সালের তৃণমূলী হোক৷ রক্তের রং সবারই লাল৷’
নিজের জেলাতেই তাঁর বিরোধী শিবিরের নেতাদের নাম না করেই এর পর উদয়ন বলেন, ‘মেখলিগঞ্জের এই সভায় যতদূর চোখ যাচ্ছে সবাই তো লাল তৃণমূল৷ কারণ এই মেখলিগঞ্জ এক সময় ফরওয়ার্ড ব্লকের দুর্গ ছিল৷ সেই মানুষগুলিই যদি মানসিকতা বদল করে সিংহ চিহ্নে ভোট না দিয়ে জোড়াফুল চিহ্নে ভোট না দিতেন তাহলে কিন্তু তৃণমূল এখানে জিতত না৷ উদয়ন গুহ লাল তৃণমূল হতে পারে, এঁদের কি আপনি বলতে পারবেন লাল তৃণমূল ভোটার?’
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার থেকে জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ কিন্তু তার পরেও যে দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব কমেনি, প্রকাশ্যেই তা বুঝিয়ে দিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী.