তাকে হাত ধরে টেনে আনতে গিয়েছিল মিঠুনের দাদার শ্যালিকা দেবী বর্মন। কিন্তু তা আর পারেনি সে দুই পরিবারের চোখের সামনে তলিয়ে যায় ওই দুই কিশোর কিশোরী।এরপর পরিবারের সদস্যরা নদীর গতিপথ চিন্তা করে প্রথমে বড় মেচিয়াবস্তিতে আসেন। কিন্তু সেখানে পাওয়া যায় না ওই দুই কিশোর কিশোরীকে। এরপর ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে দল সিংপাড়া রণবাহাদুর বস্তিতে তোর্ষা পাড়ে চলে আসেন মিঠুন বর্মনের দাদা মিঠু বর্মন ও তার বন্ধুরা। এখানে এসে দেখেন ভিড় জমেছে তোর্ষা পাড়ে।
advertisement
আরও পড়ুন: আজব কাণ্ড উত্তরবঙ্গে! উঁচু হয়ে যাচ্ছে নদী, মিশে যাচ্ছে রাস্তায়! আতঙ্কে রাতের ঘুম উড়ছে বাসিন্দাদের
ভিড় সরিয়ে দেখেন তার ভাই এবং তার শ্যালিকাকে পাড়ে পড়ে থাকতে। এরপর খবর দেওয়া হয় জয়গাঁ থানার পুলিশকে। পুলিশ এসে তাঁদের দুজনকে উদ্ধার করে লতাবাড়ি হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসক জানান দুজনেই মারা গিয়েছেন। এই খবরে শোকে ভেঙে পড়েছে দুই পরিবারের সদস্যরা। মৃত মিঠুন বর্মনের দাদা, মিঠু বর্মন কিছু বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন। তিনি বুঝে উঠতেই পারছেন না কি হয়ে গেল। মৃত মিঠুন বর্মন দের বাড়ি জয়গার বাসস্ট্যান্ড এলাকায়। তার দাদা শ্বশুরবাড়ি জয়গাঁর ছোট মেচিয়া বস্তি এলাকায়। শ্বশুরবাড়িতে আত্মীয়দের আসার কথা শুনে মিঠু বর্মন তার স্ত্রী ও তার ভাইকে নিয়ে নিমন্ত্রণ খেতে গিয়েছিলেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এরপর তারা তোর্ষা নদীতে স্নান করতে নামেন তারা। মিঠু বর্মনের সঙ্গে ছিলেন তার ভাই মিঠুন বর্মন, তার শ্যালিকা দেবী বর্মন ও তার শ্বশুরবাড়ির পাঁচজন সদস্য। নদীর পাড়ের কাছে জল কম থাকায় সেখানে স্নান করছিলেন তারা। হঠাৎ জল বাড়তে দেখে মিঠু বর্মন তার ভাইকে উঠে যেতে বলে নিজেও পাড়ে উঠে আসেন। কিন্তু ততক্ষণে নদীর স্রোতের কবলে পড়ে গিয়েছে তার ভাই মিঠুন বর্মন। মিঠু বর্মনের শ্যালিকা দেবী বর্মন ভেবেছিল হাত ধরেই টেনে আনা যাবে মিঠুনকে। কিন্তু তা আর হল না। অকালে প্রাণ ঝরলো দুই কিশোর কিশোরীর।
Annanya Dey






