এই পুজোকে কেন্দ্র করে সাজো সাজো রব আদিবাসী মহল্লাতেও। বিশেষভাবে বাড়ির মা কাকিমারা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন বাড়ি পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজে। প্রতিবছরই মেলার আগে বাড়ির দেওয়াল রং করে পরিষ্কার করেন বাড়ির মহিলারা। তার কারণ মেলা উপলক্ষে লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হয় মন্দির চত্বরে। এমনকি গ্রামের মধ্যে দিয়ে হেঁটে মন্দিরে যান বহু মানুষ। এছাড়া মেলাকে কেন্দ্র করে প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই পরিজনদের সমাগম হয় প্রতিবছর।
advertisement
আরও পড়ুন: সিলিন্ডার ওজন করতে গিয়ে তো থ! ভিতরে ভরা গ্যাস নয়, এ কী কাণ্ড
শুধুমাত্র দিনাজপুর জেলা নয় ত্রিকুল রক্ষা কালী মায়ের পুজো হিন্দু রীতি রেওয়াজ অনুযায়ী হলেও আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ যুগ যুগ ধরে এই মন্দিরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ধর্ম যার যার উৎসব সবার, সেই কথাটাই যেন তাঁরা আবাহমান কাল ধরে মেনে মন্দিরের পুজোয় অংশগ্রহণ করেন। কারণ পুজো উপলক্ষে মন্দির চত্তরে যেমন সেজে উঠেছে, তেমনই প্রতি বাড়িতেই চলছে প্রস্তুতি। পিছিয়ে নেই ত্রিকুল মন্দির সংলগ্ন আদিবাসী মহল্লার পরিবারগুলিও। তাঁরাও নিজেদের সাধ্যমত বাড়িঘর সাজিয়ে তুলেছেন। রং করার কাজ শেষ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এখন শুধু প্রতীক্ষা কবে মেলা শুরু হবে! কবে আত্মীয়-স্বজনরা নিজের নিজের বাড়িতে ফিরবেন। শুধুমাত্র ত্রিকুল পুজো নয়, সারা বছরেই দুই সম্প্রদায়ের মানুষ একে ওপরের উৎসবে শামিল হয়ে থাকেন। মাঝে মধ্যেই দুই সম্প্রদায়ের মানুষদের মধ্যে সম্পর্কের ঘাটতি থাকলেও সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার জলঘর এলাকার ত্রিকুল রক্ষাকালীর পুজো অন্য নজির তৈরি করে চলেছে বিগত কয়েকশো বছর ধরে।
সুস্মিতা গোস্বামী





