২০২৩ সালে জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত ডিএইচআরের আয় হয়েছিল ১৩ কোটি ৪৬ লক্ষ টাকা ৷ পাশাপাশি যাত্রী চড়েছিল ১ লক্ষ ১১ হাজার ৫৪১ জন ৷ কিন্তু চলতি বছরে ওই ছয় মাসেই আয় কমে হয়েছে ১২ কোটি ৬৬ লক্ষ টাকা ৷ যাত্রী চড়েছেন ১ লক্ষ ৪ হাজার ৮৪৮ জন। তাতে প্রায় ৮০ লক্ষ টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে ডিএইচআরের। পাশাপাশি যাত্রী কমেছে অন্ততপক্ষে ৬ হাজার ৬০০ জন ৷
advertisement
এই বছরের শুরুতেই কার্শিয়াংয়ের মহানদী, তিনধারিয়ার একাধিক জায়গায় ধসের কারণে টানা প্রায় বেশ কিছুদিন নিউ জলপাইগুড়ি থেকে কার্শিয়াংয়ের তিনধারিয়া ও দার্জিলিং পর্যন্ত টয়ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রাখতে হয় ৷ বিভিন্ন সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণেও ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখতে হয়।
২০২১ সালের ২৬ আগস্ট থেকে ডুয়ার্সে ভিস্তাডোম কোচ যাত্রা শুরু করে। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে আলিপুরদুয়ার জংশন পর্যন্ত প্রথমে সপ্তাহে তিন দিন এই ট্রেন চলত। পরে ওই বছরই ২২ নভেম্বর থেকে এই ট্রেন সপ্তাহে সাত দিনই চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় রেল।
মহানন্দা, গরুমারা, বক্সা, জলদাপাড়া বনাঞ্চলের মধ্য দিয়ে চলা এই ট্যুরিস্ট স্পেশাল ট্রেন প্রথম প্রথম ভিড়ে ঠাসা থাকত। ট্রেনে বসে চা-বাগান ও বনাঞ্চল, বন্যপ্রাণী দেখার সুযোগ থাকে। এখন আর সেভাবে যাত্রী হচ্ছে না এই ট্রেনে। আর সেই কারণে এই ট্রেনের রুট বদলের ভাবনা ভাবছে রেল।
উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের ডি আর এম অমরজিৎ গৌতম বলেন, “ভিস্তাডোমে আমরা বর্তমানে সেভাবে যাত্রী পাচ্ছি না। যে কারণে এই ট্রেনটিকে মালবাজার থেকে গরুমারা হয়ে চ্যাংড়াবান্ধা লাইনে চালানোর কথা ভাবা হচ্ছে। এখনও সিদ্ধান্ত কিছু হয়নি।”
এ দিকে রেলের অবাস্তব সময়সূচির কারণেই এই ট্রেন যাত্রী পাচ্ছে না বলে অভিযোগ পর্যটন ব্যবসায়ীদের। পর্যটন ব্যবসায়ীদের আরও অভিযোগ, ডুয়ার্স রুট বাদ দিয়ে এই ট্রেন চালালে আরও কম যাত্রী হবে।
প্রসঙ্গত ভিস্তাডোম কোচ সহ ট্যুরিস্ট স্পেশাল ট্রেন সকাল ৭টায় নিউ জল্পাইগুড়ি থেকে ছাড়ে। কলকাতা থেকে ট্রেনে আসা কোনও পর্যটকই ওই দিন এই ট্রেন ধরতে পারেন না। এই ট্রেন ধরতে হলে বাইরের পর্যটকদের একদিন শিলিগুড়িতে থাকতে হয় বলে অভিযোগ। সময় অদ্ভুত হওয়ায় এই সমস্যা।