এদিকে ওই ঘটনায় দার্জিলিং হিমালয়ান রেলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই স্কুল ছাত্রীর নাম রোশনি রাই। সে কার্শিয়াংয়ের মকাইবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। বেসরকারি স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল রোশনি। ঘটনায় আহত হয়েছে তার দিদি প্রতীক্ষা রাই বয়স ১৯ বছর। যদিও ঘটনায় রেল কর্তৃপক্ষের কোনও দোষ নেই বলে জানিয়েছে ডিএইচআর কর্তৃপক্ষ।
advertisement
সোমবার সকালে দিদির সঙ্গে ওষুধ কিনতে বাড়ি থেকে বের হয়। কার্শিয়াংয়ে বাজারের কাছে লাইন পারাপার হওয়ার সময় টয়ট্রেনটি পিছন থেকে ধাক্কা মারে বলে অভিযোগ। এরপর তড়িঘড়ি দু’জনকে জখম অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় ও ট্রাফিক পুলিশ প্রথমে কার্শিয়াং সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখানে চিকিৎসার পরে প্রতীক্ষাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু রোশনি আশঙ্কাজনক থাকায় তাকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
হাসপাতাল থেকে পরিবারের লোক তাকে শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করে। কিন্তু ভোররাতে মৃত্যু হয় রোশনির। এই বিষয়ে মৃতার দাদা বিবেক শর্মা বলেন, এখানে রেলের গাফিলতি রয়েছে। এই বিষয়ে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলের ডিরেক্টর রিশভ চৌধুরী বলেন, “এখানে রেলের কোনও গাফিলতি নেই৷ ওই দুই স্কুল ছাত্রী লাইন ধরে চলছিল। তাদের কানে হেডফোন লাগানো ছিল। এতে লোকো পাইলট একাধিকবার হুইসেল দিলেও তারা শুনতে পায়নি। সাধারণ মানুষভাবে যে টয়ট্রেন ধীরে চলে। তাই তারা গুরুত্ব দিতে চান না। কিন্তু তারা এটা ভুলে যায় এটিও একটি যন্ত্র।”এদিকে, এই ঘটনার পরই মঙ্গলবার কার্শিয়াং স্টেশনে রোশনি রাইয়ের ছবি বসিয়ে বিক্ষোভে বসে স্থানীয়রা।
সুজয় ঘোষ