আরও পড়ুনঃ ডুয়ার্সে জঙ্গলের মাঝে রেললাইন পার হতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত অন্তঃসত্ত্বা হাতি
পর্যটন শিল্প নির্ভর পাহাড়ের দুই জেলায় হোমস্টের সংখ্যা দিনের পর দিন বাড়ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে হোমস্টে তৈরির জন্য আর্থিক সহযোগিতা করায় আরও বেশি হোমস্টে গড়তে উদ্যোগী হয়েছে পাহাড়বাসী। প্রশাসন সূত্রে খবর, নথিভুক্ত হোমস্টের সংখ্যা দার্জিলিংয়ে ১ হাজার ৭০টি এবং কালিম্পংয়ে প্রায় ৩১২ টি। এর বাইরে আরও কিছু বিক্ষিপ্তভাবে হোমস্টে রয়েছে।
advertisement
দেশ-বিদেশের পর্যটন মানচিত্রে আগেই জায়গা করে নিয়েছে দার্জিলিং ও কালিম্পং। সামনেই পুজোর মরশুম। তার জন্য এখন থেকেই হোমস্টে, হোটেল ও লজ বুকিং শুরু হয়েছে। এই অ্যাপ চালু হলে পর্যটকরাও প্রতারিত কম হবেন। হোমস্টে নিয়ে অ্যাপ ‘গুগল প্লে স্টোরে’ থাকবে। সেখান থেকে তা সহজেই ডাউনলোড করতে পারবেন পর্যটকরা। তারপর ঘরে বসেই অ্যাপের মাধ্যমে হোমস্টের ঘর বুকিং করতে পারবেন।
জিটিএ’র মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শক্তিপ্রসাদ শর্মা বলেন, “হোমস্টে নিয়ে সমীক্ষা শুরু হয়েছে। প্রথমে সব হোমস্টের রেজিস্ট্রেশন করানো হবে জিটিএ’র অধীনে। এরপর সেই গুলিকে নিয়ে মোবাইল অ্যাপ চালু হবে। তাতে হোমস্টের নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর সহ যাবতীয় তথ্য থাকবে। অ্যাপ ডিজাইনের কাজও চলছে। সবকিছু ঠিকঠাক চললে চলতি মাসেই তা আনুষ্ঠানিকভাবে লঞ্চ করা হবে। এই অ্যাপ চালু হলে পুজোর মরশুমে পর্যটক ও হোমস্টে মালিকদের ব্যাপক সুবিধা হবে।”
অন্যদিকে, জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, লামাহাটা, সিটং, সান্দাকফু, টংলুং, বাতাসিয়া লুপ, মংপু সহ প্রায় ৫০টি দর্শনীয় স্থান নিয়ে বই তৈরি করা হচ্ছে। এখানে মিলবে সংশ্লিষ্ট এলাকার ছবি ও বর্ণনা। পুজোর আগেই তা প্রকাশ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একই উদ্যোগ নিয়েছে কালিম্পং জেলা প্রশাসনও।
অনির্বাণ রায়