শীঘ্র কোন ব্যবস্থা না নিলে অবশিষ্ট জমিটুকুও থাকবে না বলে আশঙ্কা বাসিন্দাদের। আলিপুরদুয়ারের জঙ্গল ঘেরা কোদালবস্তি গ্রামটিতে প্রায় ৩৫০ টি পরিবারের বসবাস। আর এই গ্রামের বাসিন্দাদের অন্যতম প্রধান জীবিকা কৃষিকাজ। এই গ্রামেরই অধিকাংশ কৃষিজমি ঘেঁষে বয়ে চলেছে তোর্ষা ও কুলটি দুটি নদী। বাসিন্দাদের কথায়, এই নদীতে বাঁধ না থাকায় গত ২০১৮ সাল থেকেই একটু একটু করে এলাকার প্রায় ৭০ বিঘারও বেশি কৃষিজমি বিলীন হয়ে গিয়েছে নদীতে। বর্তমানে কর্মসংকটে বেশ কয়েকজন শ্রমিক পাড়ি দিয়েছেন ভিনরাজ্যে। আবার যারা গ্রামে রয়েছেন তারা দিনমজুরি করে কোনোমতে সংসার চালাচ্ছেন। পাশাপাশি, বিলীন হয়েছে বাসিন্দাদের যাতায়াতের জন্য গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে তৈরি কালভার্ট, বন্যজন্তু দেখার জন্য পর্যটকদের জন্য তৈরি ওয়াচ টাওয়ারও।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এলাকার বাসিন্দা দিলীপ রাভা বলেন, “একসময় যেই রাস্তা দিয়ে কালভার্ট পার করে নিজের কৃষিজমিতে যেতাম। এখন সেই জমির পুরোটাই গ্রাস করে নিয়েছে নদী। আর কালভার্টের কিছুটা অংশ নদীতেই পড়ে রয়েছে।”
আরও পড়ুন: তৈরি মাস্টার প্ল্যান! উত্তরবঙ্গে নতুন চিড়িয়াখানা, এই এলাকার বাসিন্দাদের কপাল খোলা শুধু সময়ের অপেক্ষা
এই বিষয়ে স্থানীয় মেন্দাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান চন্দ্রা নার্জিনারী বলেন, “সেচ দফতর ছাড়া এই সমস্যা সমাধান করা প্রায় অসম্ভব। আমাদের তরফেও সেচ দফতরে বারংবার আর্জি জানানো হয়েছে। দ্রুত কাজ না হলে হয়ত গ্রামটাই আর থাকবে না।” যদিও, এ বিষয়ে সেচ দফতরের উত্তর-পূর্ব বিভাগের মুখ্য বাস্তুকার কৃষ্ণেন্দু ভৌমিক বলেন, “আমরা এখানে কাজের পরিকল্পনা নিয়েছি, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে অনুমোদন পেলে কাজ শুরু হবে।”
Annanya Dey