দার্জিলিঙ পুরসভায় সংখ্যা গরিষ্ঠতা হারিয়েছে হামরো পার্টি। এদিকে তৃণমূলের সঙ্গে জোট বেঁধে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করেছে বিজিপিএম। বোর্ড দখল নিয়ে কদিন আগেই তাপমাত্রার পারদ চড়েছিল বঙ্গের এই শৈলশহরে। সোমবার কী হয় এখন সেটাই দেখার।
আরও পড়ুন- হকি বিশ্বকাপে আজ ব্রিটিশ বধের লক্ষ্যে ভারত, কঠিন ম্যাচ হরমন, হার্দিকদের
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে পাহাড়ের মানুষকে সুশাসনের আশ্বাস দিয়েছিল বিজেপি। হামরো পার্টির সভাপতি অজয় এডওয়ার্ডের দাবি, বিজেপি নিজেদের ইস্তাহারেও 'গোর্খাল্যান্ডে'র বিষয়টি উল্লেখ করেছিল। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতির মেয়াদ ফুরোতে চলেছে। আর মাত্র ১২ মাস বাকি। চব্বিশেই ফের লোকসভা নির্বাচন। তাই তার আগে পৃথক 'গোর্খাল্যান্ডের' দাবি নিয়ে কেন্দ্রের উপরে চাপ সৃষ্টি করতে চাইছেন এডওয়ার্ডরা। একজোট হয়ে লড়ার রণকৌশল তৈরি করছেন।
advertisement
এদিন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুঙ্গ বলেন, "পাহাড়ের সাধারণ মানুষ ভাল নেই। রাজ্য এবং কেন্দ্রকে আমরা এই বার্তাই দিতে চাইছি। বিজেপি এবং তৃণমূল কারোর সঙ্গেই নেই। পাহাড়বাসীর দাবি আদায়ের সঙ্গে আছি।"
আরও পড়ুন- ওয়াসিম আক্রমের ছেলে মার্শাল আর্ট ফাইটার! পেশাদার লড়াইয়ে নাম করছেন আমেরিকায়
যদিও বিরোধীদের মঞ্চকে লোক দেখানো বলে পালটা কটাক্ষ করেন বিজিপিএমের সভাপতি অনীত থাপা। বলেন, "ওঁদের নিজেদের মধ্যেই মিল নেই, কিছুদিন আগে পর্যন্ত কেউ কারোর সঙ্গে কথা বলতেন না। একে অপরকে আক্রমণ করতেন। এই জোট অনীত থাপাকে গালি দেওয়ার জন্যে গড়া হয়েছে। বেশি দিন টিকবে না।" যদিও এডওয়ার্ডের দাবি, অনীত তাঁদের কাছে কোনও ফ্যাক্টর নন।
এই পরিস্থিতিতে আগামিকাল দার্জিলিং পুরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচন। তৃণমূলের ২ এবং নিজেদের ১৪ সবমিলিয়ে ১৬ জন কাউন্সিলর নিয়ে রবিবার দলীয় কার্যালয়ে বৈঠক করেন অনীত। বোর্ড তাদেরই, শুধু সময়ের অপেক্ষা, দাবি করেন অনীত। ইতিমধ্যেই দীপেন ঠাকুরির নাম চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেছে বিজিপিএম।
অন্যদিকে, প্রার্থী দিচ্ছে হামরো পার্টিও। মোর্চার ৩ এবং নিজেদের ১২ মিলিয়ে ১৫ জন কাউন্সিলর রবিবার রাতটা একসঙ্গেই থাকছেন। রাতে বৈঠক করে চেয়ারম্যানের নাম ঠিক করবেন। সোমের সকালে গোপন ব্যালট ভোট। সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের।