এ দিন দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি-সহ তৃণমূল কংগ্রেসের জনপ্রতিনিধিরা। পরিস্থিতি সামলাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছতে হয় পুলিশকে। মালদহের ইংরেজবাজারের বিনোদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সাটটারি এলাকার ঘটনা। তৃণমূলের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দুর্নীতি নিয়ে সভাধিপতির সামনে ক্ষোভ উগড়ে দেন এলাকার মানুষ। স্থানীয় তৃণমূল প্রধান রিতা চৌধুরীর স্বামী অর্জুন চৌধুরী, উপপ্রধান আমিন মিঞাঁ এবং কিছু পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি এটিএম রফিকুল হোসেন এবং তৃণমূল জনপ্রতিনিধিদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা।
advertisement
আরও পড়ুন, উন্নয়ন ইস্যুকে সামনে রেখেই ভোট প্রচারে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা
আরও পড়ুন, ধর্মতলায় অশান্তি! নওশাদ-সহ ১৯ জনের জামিনের আর্জি খারিজ করল ব্যাঙ্কশাল আদালত
তাঁদের অভিযোগ, এলাকায় উন্নয়ন হয়নি। রাস্তাঘাট থেকে আবাস যোজনা দুর্নীতির আতুর ঘরে পরিণত হয়েছে পঞ্চায়েত। তাই, এদিন জনপ্রতিনিধিদের কাছে পেয়ে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। সভাধিপতি বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন জেনে এলাকায় ছোটে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা হয়। পুলিশ এসেও পরিস্থিতি শান্ত হয়নি। শেষে সভাধিপতি প্রতিশ্রুতি দেন, এলাকার রাস্তা সংস্কার সহ বিভিন্ন সমস্যা মেটানোর উদ্যোগ নেবেন তিনি।
পরে সংবাদমাধ্যমের কাছে এই বিক্ষোভের ঘটনা কার্যত স্বীকার করে নেন মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি এটিএম রফিকুল হোসেন। তিনি জানান, স্থানীয় কিছু সমস্যা রয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
এদিকে সভাধিপতির বিক্ষোভের মুখে পড়াকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। গ্রামের মানুষের তৃণমূলের পঞ্চায়েত ও জেলা পরিষদের ওপর সাধারণ মানুষের ক্ষোভ কতটা এই ঘটনা তারই প্রমাণ এমনটাই দাবি বিজেপির।