অশোক ভট্টাচার্য এবং দীপা দাসমুন্সীরা ওই জোট তৈরি করেছিলেন। পরবর্তীতে রাজ্য রাজনীতিতে বাম এবং কংগ্রেসের জোটের সূত্র কিন্তু এই শিলিগুড়ি মডেল থেকেই। আগামী ২৯ এপ্রিল বারের নির্বাচন। গতকাল ছিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। সেখানেই সভাপতি পদে বামেদের প্রার্থী কোবিন্দ্র ভৌমিক মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। আসনটি ছাড়েন তৃণমূলকে। আর সম্পাদক পদে তৃণমূলের আইনজীবী সেলের সদস্য অমিতাভ ভট্টাচার্য মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। এ পদে লড়ছেন বামেরা।
advertisement
আরও পড়ুন: সিকিমে বন্ধ করে দেওয়া হল ছাঙ্গু লেক-না থুলা! ফের কি বড় কিছুর আশঙ্কা? চিন্তায় পর্যটকরা
অথচ শিলিগুড়ি বারের নির্বাচনে ২০১৫ থেকে বাম এবং কংগ্রেস জোট গড়ে ক্ষমতা দখল করে এসছে। একে অশুভ জোট বলে কটাক্ষ কংগ্রেসের আইনজীবী গঙ্গোত্রী দত্তের। তারাই জিতবেন বলে আশাবাদী। ১৬ আসনেই প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেস। বরাবর বামেদের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে দল। রাজনীতির ৫০ বছরে এসে বামেদের সঙ্গে হাত মেলাতে যাবো কেন? পালটা প্রশ্ন মেয়র গৌতম দেবের। তৃণমূল তার নিজেদের শক্তিতেই লড়বে। দাবি মেয়রের।
আরও পড়ুন: রাতের বৃষ্টিতে গরম কমল কলকাতায়, তাপপ্রবাহ নিয়ে বিরাট খবর! হাওয়া অফিসের বড় পূর্বাভাস
অন্যদিকে সিপিএম নেতা জীবেশ সরকার বলেন, রাজ্য এবং দেশে লড়াই তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে। বারের নির্বাচনে কেন সমঝোতা করতে যাব? আর যদি দলের কোনো আইনজীবী সেলের সদস্য জোট করে থাকে, তা প্রমাণিত হলে দলীয় আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আর একে কাঁঠালের আমসত্ব বলে কটাক্ষ বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের। তাঁর দাবি, সিপিএমের এই তৃণমূলের সঙ্গে জোট কোনো নতুন ঘটনা নয়। দীর্ঘদিন ধরেই তলায় তলায় জোট রয়েছে। তা এবারে সামনে এল শিলিগুড়ি বারের নির্বাচনে।