সকালবেলা ঝড়ে বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে যান বানারহাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সীমা চৌধুরী।সকাল হতেই তিনি ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো ঘুরে দেখেন, কথা বলেন সেই সমস্ত পরিবারগুলি সাথে। ঝড়ের কারণে যে সমস্ত মানুষের বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কাজ করে তাদের হাতে ত্রাণের পলিথিন তুলে দেন তিনি। এদিকে বানারহাট হাসপাতালের সামনে ইন্দো ভুটান সড়কের উপরে গাছ ভেঙে পড়ে থাকায় সমস্যায় পড়েন সাধারণ মানুষ থেকে রোগী ও তার আত্মীয়রা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সদ্যোজাত শিশুদের কোলে নিয়ে পরে থাকা গাছের উপর দিয়ে পারাপার করতে হয় রোগী ও তার আত্মীয়দের।
advertisement
আরও পড়ুন: আসছে তাপপ্রবাহ! হবে ধুলোঝড় ও কালবৈশাখীও? চূড়ান্ত সতর্কবার্তা জারি
পরবর্তীতে প্রশাসনের তরফ থেকে বানারহাট এর হাসপাতালের সামনে ইন্দো ভুটান সড়কের উপরে পড়ে থাকা গাছ কেটে রাস্তা পরিষ্কার করা হয়। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চা বাগান চাষের ক্ষেত। সেই সাথে ধূপগুড়ি ব্লকের সোনাখালি জঙ্গলে প্রচুর গাছ ঝোড়ে ভেঙ্গে পরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।অন্যদিকে একই পরিস্থিতি নাগরাকাটা ব্লকে। সেখানেও ঝড়-বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি। শিলাবৃষ্টিতে টিনের চাল ফুটো হয়ে গেছে। একাধিক বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত বলে খবর। রাস্তার ওপর দিয়ে বইছে বৃষ্টির জল। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের শুরু করে প্রশাসনের আধিকারিকরা।
অন্যদিকে রবিবার সন্ধ্যার ঝড়ে অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলো গয়েরকাটার সাকোয়াঝোরা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ সাকোয়াঝোরা এলাকার সঞ্জয় রায়ের পরিবার।
আরও পড়ুন: মাছের চেম্বারে নামলেন ৭ জন, সেখানেই ৫ বাঙালির মর্মান্তিক মৃত্যু! শিউরে ওঠা ঘটনা...
দমকা হাওয়া শুরু হওয়ায় ঘরের ভেতর আশ্রয় নেয় সঞ্জয় রায়ের পরিবার।সেই সময় আচমকাই ঘরের উপর ভেঙে পড়ে দুটো গাছ।ভেঙে যায় ঘরের চাল।আরেকটি গাছ ভেঙে পড়ে গোয়াল ঘরে।গাছের নিচে চাপা পড়ে বাড়ির গবাদি পশু।কোনো ক্রমে গবাদি পশু গুলোকে সেখান থেকে বার করে নিয়ে আসা হয়।সারারাত ভাঙ্গা ঘরে আতংকের মধ্যে রাত কাটায় গোটা পরিবার।সকালে এলাকা পরিদর্শনে আসেন বানারহাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সীমা চৌধুরী।তিনি সমস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন।ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সাথে কথা বলেন।তাদের হাতে পলেথিন তুলে দেওয়া হয়।সেই পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
বানারহাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সিমা চৌধুরী বলেন, সকাল বেলা থেকেই আমি বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বেড়িয়েছি, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে পাশাপাশি যাদের বাড়িঘর ক্ষতি হয়েছে তাদের পলিথিন দেওয়া হয়েছে ত্রাণের। জঙ্গলের প্রায় এক হাজারের উপরে গাছ ভেঙ্গে উপরে গেছে, চাষের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, চা বাগানেও শিলা বৃষ্টি তে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । বহু বাড়ির চালের টিন উড়ে গিয়েছে শিলা বৃষ্টির ফলে টিন ফুটো হয়ে গিয়েছে। আমরা সব রকম ভাবে তাদের পাশে আছি।
----শেখ রকি চৌধুরী
