চিকিৎসক ডাঃ অভিজিৎ রায় জানান, ১৯৮৫ সাল থেকে তিনি ডাক্তারি পেশার সঙ্গে যুক্ত। দীর্ঘ সময় আগে ইংরেজি ভাষায় লেখা প্রেসক্রিপশন বেশিরভাগ রোগীদের কাছেই দুর্বোধ্য ছিল। তাই তখন থেকেই বাংলা ভাষায় প্রেসক্রিপশন লেখা শুরু হয় তাঁর। এখনোও তিনি সেই অভ্যাস রেখেছেন। তবে বর্তমানে যদিও বেশিরভাগ রোগীরা বাংলা লেখায় এই প্রেসক্রিপশন দেখে অনেকটাই অবাক হয়ে থাকেন। অনেকে তো আবার এসে বলে থাকেন যে বাংলায় লেখা প্রেসক্রিপশনই চাই তাঁর। তবে অনেকে আবার ইংরেজি ছাড়া বোঝেন না। তখন বাধ্য হয়েই ইংরেজিতে লিখতে হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অর্থনীতি বদলে দিতে পারে দুটি ফল, কিনতে চায় চিন! বিশেষ আবদার জিংপিং সরকারের
তিনি আরও বলেন, “তবে ইংরেজিতে না লিখলে একটা সমস্যা রয়েছে। সেটা হল বাইরের রাজ্যে রোগী সেই প্রেসক্রিপশন নিয়ে গেলে অসুবিধায় পড়তে হয়। সেক্ষেত্রে ওষুধের নাম গুলি এবং খাবার বিষয়টি পাশে ইংরেজিতেও লিখে দিতে হয়”। তবে জেলার বহু মানুষ তাঁর এই বিশেষ কর্মকাণ্ডে অনেকটাই মুগ্ধ হয়ে থাকেন। নিজের মাতৃভাষার প্রতি অগাধ ভালোবাসা এই চিকিৎসককে করে তুলেছে অনেকটা স্বতন্ত্র। তাই ভবিষ্যতে বাঙালিদের নিজের মাতৃভাষা বাংলার কদর করতে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। তাই অন্য ভাষার পাশাপাশি বাংলা ভাষাও সঠিকভাবে রপ্ত করা উচিত।
২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এই দিনটিতে বাংলা ভাষা নিয়ে মেতে ওঠেন ছোট থেকে বড় সকলে। তবে নিরবে নিজের মাতৃভাষাকে ভালোবেসে চলা এই চিকিৎসকের কর্মকাণ্ড অবাক করছে বহু মানুষকে। চিকিৎসক আগামী দিনেও এভাবেই বাংলা ভাষায় প্রেসক্রিপশন লিখুক এমনটাই প্রত্যাশা বহু মানুষের।





