বিবাহবিচ্ছিন্ন ওই পঁচিশ বছরের যুবতীর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল প্রতিবেশী যুবককের। এদিকে পরিবারের লোকেরা ওই যুবতীর দ্বিতীয় বিয়ের তোড়জোড় শুরু করে। দেখাশোনা চলছিল বিয়ের জন্য। পুলিশি জেলায় অভিযুক্ত যুবক স্বীকার করেছে, ওই যুবতীর অন্যত্র বিয়ে হচ্ছিল। এই বিষয়টি সে মেনে নিতে পারছিল না। এমনকি গত কয়েকদিন ধরে ওই যুবতী তার সঙ্গে কথা পর্যন্ত বলছিল না।অভিযুক্তের দাবি, দুইজনের মধ্যে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। অভিযুক্ত বিবাহিত। যদিও মৃত যুবতী অভিযুক্ত যুবককে প্রেম করতো কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে পুলিশের। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা একতরফা প্রেম হতে পারে যুবকের।
advertisement
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে অভিযুক্তের নাম সমীর মণ্ডল (৩৬)। মালদহের মোথাবাড়ি থানার হামিদপুর পঞ্চায়েতের শ্রীপুর কলোনীর এক ভুট্টাখেতে বিবস্ত্র অবস্থায় যুবতীর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার পর মোথাবাড়ি থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করে।
তদন্তে নেমে ওইদিনই সন্দেহজনক অবস্থায় পাঁচজনকে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করে চিহ্নিত করে অভিযুক্তকে।মালদহ পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব জানান, মৃত যুবতীর সঙ্গে অভিযুক্ত সমীর মণ্ডলের সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি মৃত যুবতীর বিয়ের জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছিল পরিবার। অভিযুক্ত সমীর মৃত যুবতীর প্রতিবেশী। অভিযুক্ত সমীর মন্ডল বিবাহিত। তবুও যুবতীর সঙ্গে প্রণয়ঘটিত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তবে মৃত যুবতীর সেই সম্পর্কে রাজি ছিল কিনা তা নিয়ে এখনও কোন তথ্য পাওয়া যায় নি। যদিও অভিযুক্ত যুবকের দাবী মৃত যুবতী তাদের সম্পর্ক এক তরফা ছিল না।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের সঙ্গে মৃত যুবতীর সম্পর্কের টানাপড়েন শুরু হয়। আর সেই কারণে যুবতীকে ডেকে নিয়ে সন্ধ্যায় সময় নির্জন এলাকার খুন করা হয়। ধারাল অস্ত্র দিয়ে খুন করা হয়েছে। যে ভুট্টা খেত থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে তার ১০০মিটার দূরে যুবতীকে খুন করা হয়। খুন করার পর মৃতদেহের রক্ত যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য মৃত যুবতীর পরণের পোশাক ক্ষত স্থানে বেঁধে রাখা হয়। প্রমাণ লোপাটের জন্য এমনটা করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশ সুপারের। দেহটি কাঁধে নিয়ে গিয়ে ভুট্টা খেতে ফেলে আসে অভিযুক্ত। নিখোঁজ হওয়ার পর অভিযুক্ত পরিবার ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে যুবতীর খোঁজ করতে বেরিয়েছিল। পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছে অভিযুক্ত। অভিযুক্তকে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে মালদহ জেলা আদালত।
হরষিত সিংহ