ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। উদ্যোক্তাদের মতে, এই বছরও পুজো হবে একেবারে ঐতিহ্য মেনে, কোনও আধুনিকতার চাকচিক্য ছাড়াই। কারণ এই পুজোর আসল সৌন্দর্য তার নিয়ম-নীতি, আচার এবং শ্রদ্ধায়। দীপান্বিতা অমাবস্যার রাতে এই মন্দিরে মা দীপান্বিতা কালী রূপে পূজিতা হন। এ বছর ২০ অক্টোবর রাত দশটা থেকে শুরু হবে পুজো, যা চলবে সারারাত।
advertisement
প্রতিবারের মতো এবারও দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য থাকবে বিশেষ ব্যবস্থা। বৃদ্ধ ও বৃদ্ধাদের থাকার ব্যবস্থা, দর্শনের জন্য আলাদা লাইন, আর থাকবে প্রায় ২০০ জন স্বেচ্ছাসেবক, যারা সারারাত ধরে তদারকি করবেন ভিড় নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে নিরাপত্তা পর্যন্ত। উদ্যোক্তারা জানান, পুজোর দিন দুস্থদের জন্য বস্ত্র বিতরণ ও ভোগ প্রসাদ বিতরণ করা হবে, পাশাপাশি থাকবে সমাজসেবামূলক নানা উদ্যোগ।
এই মন্দিরের অন্যতম আকর্ষণ এর ভোগ প্রথা। সারা বছর নিরামিষ ভোগ হলেও কালীপুজোর দিন একমাত্র দিন যখন মাকে নিবেদন করা হয় মাছের ভোগ — বিশেষ করে শোল, কাতল, ইলিশ ও বোয়াল। মায়ের প্রিয় ভোগ শোল মাছ বলেই বহু ভক্ত আগে থেকেই মন্দির কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ করে ভোগ দেওয়ার অনুমতি নেন। তবে আগে যেখানে পাঠা বলির প্রচলন ছিল, এখন তা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা হয়েছে; তার বদলে মাকে নিবেদন করা হয় চাল কুমড়ো ও আখ সহ নানান ফল।
উদ্যোক্তাদের কথায়, “প্রায় একশো বছরের এই পুজো কেবল ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, এটি শহরের ঐতিহ্যের প্রতীক। মুকুন্দ দাসের হাতে শুরু হওয়া এই পুজো আজও আমাদের গর্ব।”
তাই শহরবাসী এখন গুনছে দিন — ২০ অক্টোবর রাতের আকাশে দীপান্বিতা কালীর আলোয় আবারও ভরে উঠবে আনন্দময়ী কালীবাড়ির প্রাঙ্গণ, আর মায়ের আহ্বানে শিলিগুড়ি মেতে উঠবে ভক্তির আবহে।