এক, দুই করে অধিকাংশ পড়ুয়া তাদের অভিভাবকদের কাছে সবকিছু খুলে বলতে শুরু করে, সেই শিক্ষক সম্পর্কে।
আরও পড়ুন: পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ক্যাম্প বিধায়কের, সমস্যায় পড়লেই যোগাযোগের নম্বর দিয়ে রাখলেন
স্বাভাবিক ভাবেই ওই শিক্ষককের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে অভিভাবক মহলে। অভিযোগ বিষয়টি নিয়ে তাঁরা একাধিকবার স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে মৌখিক অভিযোগ জানালেও স্কুলের তরফে বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে স্কুলের তরফে। ঘটনা আলিপুরদুয়ারের শামুকতলা থানার একটি সরকারি স্কুলের। অভিভাবক ও পড়ুয়াদের অভিযোগ কীর্তিমান ওই শিক্ষক মাস চারেক আগে থেকেই কথায় কথায় ‘ব্যাড টাচ’-এ মেতে উঠেছিলেন।
advertisement
আরও পড়ুন: সামনে লেপার্ড, মহিলার হাতে কিচ্ছু নেই শুধু একটা ছাতা! তারপর যা হল…শুনলে আঁতকে উঠবেন
দিনে দিনে শালীনতার মাত্রা অতিক্রম করছিলেন ওই ভূগোলের শিক্ষক। এমনকি প্র্যাক্টিকাল ক্লাসের অছিলায় বেশ কিছু পড়ুয়ার ওপর রীতিমতো যৌন নির্যাতনের অভিযোগও ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। বিষয়টি মাত্রা ছাড়াতে শুরু করলে স্কুল কর্তৃপক্ষের উপর আর ভরসা রাখতে পারেননি অভিভাবকরা। বরং তাঁরা বিষয়টি সরাসরি ভাবে লিখিত আকারে সিডাব্লিউসির কাছে জানান।
পুলিশের পরামর্শ মেনে সিডাব্লিউসির সদস্যরা সংশ্লিষ্ট স্কুলে গিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেন পুলিশের কাছে। তারপরেই অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে পকসো ধারায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে পুলিশ। শামুকতলার ভরা বাজার থেকে অভিযুক্ত ভূগোলের শিক্ষককে গ্রেফতার করে শামুকতলা থানার পুলিশ। এদিন অভিযুক্ত শিক্ষক কে আলিপুরদুয়ার কোর্টে তোলা হয়।