আরও পড়ুন: মাঠে কাজ করতে গিয়ে বজ্রাঘাতে মৃত্যু এক যুবকের
আজাদীর কথায়, “বাগান ঠিক থাকলে কেউই বাড়ি ছাড়তে চায় না। কিন্তু মাসে ৩ হাজার টাকায় সংসার চলে?” একই ছবি লক্ষ্মী মাহালীর পরিবারেও। লক্ষ্মীর দাদা রাজু বলেন, “ভাই হরিয়ানায়, লক্ষ্মী বছরখানেক আগে গিয়েছে দিল্লিতে। ছোট্ট বোনটা আজ পরের বাড়ির কাজ করছে, কারণ পরিবারের মুখে ভাত তুলে দিতে হবে।” এই বাগানের অনেকেই রয়েছেন দিল্লী,হরিয়ানা,কেরল,চেন্নাই বিভিন্ন এলাকায়।করছেন পরিচারিকা,রাজমিস্ত্রী, দিনমুজুরি বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। কিন্তু ঝুঁকিতে কি এসে যায় টাকা তো মিলছে।এই রকম কথাই শোনা গেল বানারহাট চা বাগানের উপর লাইন এবং তার পার্শ্ববর্তী ফ্যাক্টারি লাইনের ভিন রাজ্যের যাওয়া পরিবারের লোকজনদের মুখে। বর্তমান পরিস্থিতিতে, এখন হয় চা বাগানের কাজ নেই, থাকলেও যথাযথ মজুরি নেই। অথচ বাইরে গেলে ১২-১৫ হাজার টাকার কাজ মিলছে। অ্যাড্রু উইলের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থার বাগানেও এই চিত্র স্পষ্ট। চা শ্রমিকদের দাবি— মজুরি নিশ্চিত করা হোক, কাজের পরিবেশ স্থিতিশীল হোক। নাহলে এমন দিন আসবে, যখন বাগানে কেবল স্মৃতি হয়ে থাকবে লক্ষ্মীদের পায়ের ছাপ!
advertisement