ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ইছামতী নদীর কোলে ছোট্ট এক চিলতে শহর,টাকি। রায়চৌধুরী, মুন্সি, টাকি পুবের বাড়ি-সহ একাধিক জমিদার বাড়ি রয়েছে এই প্রাচীন সীমান্ত শহরে। টাকি অঞ্চলে সমৃদ্ধির সূচনা জমিদারি আমল থেকেই। টাকির জমিদার রামকান্ত রায়চৌধুরী ছিলেন গভর্নর জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংসের প্রধানসচিব । আজও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভ্রমণপিপাসু মানুষ টাকিতে সময় কাটানোর জন্য আসেন। কিন্তু ছোট্ট টাকি শহরের নামকরণের পিছনে লুকিয়ে আছে অন্য এক ইতিহাস।
advertisement
আরও পড়ুন : গা ছমছমে ঘন বনপথে হিংস্র জন্তুর ভিড়! বর্ষার পরই অল্প খরচে বেড়াতে চলুন বক্সা অরণ্যে
বাংলার বারো ভুঁইঞার মধ্যে এক ভুঁইঞা ছিলেন যশোরের প্রতাপশালী রাজা প্রতাপাদিত্য। পরবর্তীতে তাঁর বংশধর কৃষ্ণ দাস টাকিতে বসবাস শুরু করেন। কথিত, বর্তমানের টাকির ইছামতী নদীকে ‘যমুনা ইছামতী নদী’ নামে চিহ্নিত করা হত। মূলত দু’টো নদীর কৌণিক স্থান ‘ট্যাক’ নামে পরিচিত। ইছামতী নদী ভৌগোলিকভাবে গতিপথ পরিবর্তনের ফলে বিস্তৃত চড়াভূমি তৈরি হয়। চড়াভূমিকে অনেকে টেক বা ট্যাগ বলে আখ্যায়িত করেন। এই টেক বা ট্যাক থেকে টাকি শহরের নামকরণের উৎপত্তি হয়েছে বলে জানালেন বসিরহাটের বিশিষ্ট শিক্ষক সিঞ্চন বন্দ্যোপাধ্যায়।