চাঞ্চল্যকর অভিযোগ মালদহের মানিকচক ব্লক অফিস চত্বরে। বুধবার ব্লক অফিসের কমিউনিটি হলে ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড তৈরির কাজ চলছিল। অভিযোগ, সেখানে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড তৈরি করে দেওয়ার জন্য টাকা দাবি করে দালাল চক্র।
স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের আবেদনপত্রে কোনওরকম সমস্যা থাকলে টাকার বিনিময়ে কার্ড পাওয়া যাবে বলে প্রলোভন দেয় দালালরা। টাকা দিতে অস্বীকার করে কয়েকজন প্রতিবাদ করলে বচসা শুরু হয়। পরে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।
advertisement
আরও পড়ুন- ক্লাস ফাইভের মেয়ের কাটা মাথা-দেহ উদ্ধার হয়, ৭ দিন পর ঘটনাস্থলে ফরেন্সিক! কী পেল?
এর পরই দালাল চক্রের বিষয়ে সরব হন বিভিন্ন গ্রামীন এলাকা থেকে আসা সাধারণ মানুষ। যদিও স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে দালাল চক্র বরদাস্ত করা হবে না বলে জানিয়েছেন মালদা জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ কবিতা মন্ডল। এবিষয়ে মানিকচকের বিডিও-র সঙ্গে কথা বলে প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন, এদিন মানিকচক ব্লক অফিস চত্বরে কার্ড করতে এলে তাঁদের কাছ থেকে টাকা দাবি করে দালাল চক্র। সরকারি সহায়তায় বিভিন্ন রোগব্যাধির চিকিৎসার প্রয়োজনে ক্রমেই অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড।
অধিকাংশ পরিবার চাইছেন স্বাস্থ্য সাথী কার্ড তৈরি করাতে। গ্রামগঞ্জের গরীব মানুষের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড অনেক ক্ষেত্রেই যেন মুশকিল আসান। সাধারণের এই চাহিদা আঁচ করেই সক্রিয় দালাল চক্র।
কার্যত প্রশাসনের নাকের ডগায় দালাল চক্রের অস্তিত্ব প্রকাশ পেয়েছে।মানিকচক ব্লকে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড করাতে আসা উপভোক্তা আয়েশা খাতুন বলেন, আমার কাছে ছ’শো টাকা চায় দালালরা। বলে টাকা দিলে সঙ্গে সঙ্গে কার্ড করে দেবে। আমি টাকা দিতে না চেয়ে প্রতিবাদ করি।
যাঁদের কাগজপত্রে সামান্য ত্রুটি রয়েছে, তাঁদেরই মূলত টার্গেট করছে দালালরা। অবিলম্বে এবিষয়ে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ দাবি করে সরব হন উপভোক্তারা। যদিও এনিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি বিডিও বা ব্লক প্রশাসন। চক্রের সঙ্গে দপ্তরের ভেতরকার কেউ বা কারা যুক্ত কিনা সেই প্রশ্নও উঠেছে।
আরও পড়ুন- নিরামিষ থালি থেকে মটন হান্ডি! ট্রেনযাত্রা মানেই বন্দেভারত কোচ রেস্তরাঁয় খানাপিনা
মালদা জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মাধ্যক্ষ কবিতা মন্ডল বলেন, মুখ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের মাধ্যমে নিখরচায় সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা পৌঁছে দিতে চাইছেন। এক্ষেত্রে কার্ড তৈরিতে কোনওরকম দালাল রাজ চলতে দেওয়া হবে না।