এদিনের সভা থেকে শুভেন্দু দাবি করেন, "জাতীয় রাজনীতিতে সাংসদ হিসেবে দিল্লিতে আমার পরিচিতি বাড়ছিল। সংসদে মানুষের স্বার্থে ভাল ভাল বিষয় তুলে ধরছিলাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখছিলেন আমি জনপ্রিয় হয়ে উঠছি। তাই তিনি ২০১৬ সালে আমায় দিল্লি থেকে রাজ্যে নিয়ে চলে আসেন। দলে উনি চান না কারও উত্থান হোক। এখন উত্তরসূরী হিসেবে যদিও একজনকেই চাইছেন।"
advertisement
মুর্শিদাবাদ জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসের অস্তিত্ব প্রতিষ্ঠা করার জন্য নিজের অবদানের কথাও উল্লেখ করেন শুভেন্দু। তাঁর অভিযোগ, সাগরদিঘির উপনির্বাচনে তৃণমূল যাঁকে প্রার্থী করেছে, তিনি দল থেকে বহিষ্কৃত। সেই বহিষ্কৃত নেতা দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের সদ্য প্রয়াত প্রাক্তন বিধায়ক সুব্রত সাহাকে ভোটে পরাজিত করার ছক কষেছিলেন। এক সময় দল-বিরোধী কাজ করার অপরাধে বহিষ্কার করা হয়েছিল তাঁকে। এখন, সেই দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কেই এবার উপনির্বাচনে প্রার্থী করেছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন: সাগরদিঘি উপনির্বাচনে সংখ্যালঘু ভোটকেই হাতিয়ার করতে চাইছে বিজেপি
এরপরেই সাগরদিঘির মণিগ্রামের সভামঞ্চ থেকে শুভেন্দু অধিকারীর বিস্ফোরক অভিযোগ, "মুর্শিদাবাদের নবগ্রামের বিধায়ক কানাইচন্দ্র মণ্ডল ৫০ লক্ষ টাকা ও একটি চার চাকা গাড়ির বিনিময়ে সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন।" যদিও এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা।
পাশাপাশি, পুলিশকেও এদিন হুঁশিয়ারি দেন বিরোধী দলনেতা। বলেন, "তৃণমূলের সবার ঠিকুজি-কুষ্টি আমার কাছে আছে। তাই সন্ত্রাস করে যদি ভাবেন এবারেও ভোট পরিচালিত করবেন, তাহলে বিজেপি শেষ দেখে ছাড়বে।"
আরও পড়ুন: আজ রাজ্য বাজেট, নজরে আয়-ব্যয়ের সামঞ্জস্য রক্ষা, কর্মসংস্থান নিয়েও কি 'বড়' ঘোষণা?
সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটারদের একটা অংশ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। এদিনের সভা থেকে তাঁদেরও বার্তা দেন শুভেন্দু। বলেন, "বিজেপি সংখ্যালঘুদের বিরোধী নয়। ভোটব্যাঙ্কের স্বার্থে তৃণমূল এতদিন ভুল প্রচার করে এসেছে। বাংলার রাষ্ট্রবাদী সংখ্যালঘুরা বিজেপির আত্মীয় বলেও এদিন মন্তব্য করেন বিরোধী দলনেতা।"
শুভেন্দুর দাবি, ২০১১ সাল থেকে সাগরদিঘির রাশ তৃণমূলের হাতে থাকলেও, উপ নির্বাচনে লড়াইয়ের ময়দানেই নেই শাসকদল। তাঁর দাবি, "এবারের ভোটে তৃণমূল ফ্যাক্টর নয়, মূল লড়াই কংগ্রেস এবং বিজেপি প্রার্থীর মধ্যে।"
ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী