গত ৩০ মে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনাল বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের বনাঞ্চলে সমস্তরকম ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশের বলে ৫ জুলাই বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প কর্তৃপক্ষ বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের বনাঞ্চলে থাকা হোম স্টের মালিকদের নোটিস দিয়ে দুই মাসের মধ্যে হোম স্টে বন্ধ করার নির্দেশ দেন। আর তারপরেই ২৬ জুলাই বেশ কয়েকজন হোম স্টে মালিক কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে মামলা করেন। সেই মামলার শুনানির পর শুক্রবার জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের বিচারক মৌসুমি ভট্টাচার্য গ্রিন ট্রাইবুনালের নির্দেশের উপর ছয় সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশ জারি করেছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: ফ্ল্যাটে ৫০ কোটি, অথচ টাকায় কোনও অধিকারই ছিল না অর্পিতার! চাঞ্চল্যকর তথ্য ইডির হাতে
একই সঙ্গে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প কর্তৃপক্ষের দেওয়া নোটিসের উপরও একই সময়ের জন্য স্থগিতাদেশ দিয়েছে জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ। এই স্থগিতাদেশের ফলে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন হোম স্টের মালিকরা। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের বনাঞ্চলে হোম স্টের মালিক লালসিং ভুজেল বলেন, “এই রায় হোম স্টের আইনি বৈধতার প্রথম ধাপ। এর ফলে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের বনাঞ্চলে হোম স্টে খোলা রাখতে পারব। হোম স্টে মালিকদের সব সময় আদালতে লড়াই করার ক্ষমতা নেই। আমরা চাইছি সরকার আমাদের পাশে থাকুক।”
আরও পড়ুন: মিঠুনের পর এবার স্বয়ং সুকান্ত মজুমদার, তৃণমূল থেকে বেছে 'আলু' নেওয়ার দাবি! ভাঙছে শাসক দল?
জানা গিয়েছে পরিবেশ প্রেমী সুভাষ দত্তের করা একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ মে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের বনাঞ্চলে সব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনাল। নির্দেশের পর বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের বনাঞ্চলে ৬৩ টি হোম স্টে কতৃপক্ষকে বন্ধের নোটিশ ধরিয়েছিল বন দফতর। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা ক্ষেত্র অধিকর্তা অপূর্ব সেন বলেন, “গ্রিন ট্রাইবুনালের নির্দেশ হাতে পাওয়ার পর আমরা কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। এবার শুনেছি আবার গ্রীন ট্রাইবুনালের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ হয়েছে। এখনও কোর্টের অর্ডার হাতে পাই নি। কোর্টের নির্দেশ হাতে পেলে নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।”