শীতলপাটি শীতল ছোঁয়ায় মুহূর্তে গরমের রেশ উধাও হতে পারে। গ্রাম বাংলার বেশ কিছু দক্ষ কারিগরেরা এই শীতল পাটি তৈরি করে চলেছেন প্রতিনিয়ত। আজও গ্রাম বাংলার বিভিন্ন হাটে বেশ ভালো চাহিদা দেখতে পাওয়া যায় এই শীতল পাটির। গরমের এই পাটির বিক্রি বাড়ে বেশ অনেকটা।
আরও পড়ুনঃ ট্র্যাকে কাজ চলবে ১০ ঘণ্টা, বাতিল বহু দূরপাল্লা-লোকাল ট্রেন, গতিপথ বদল একাধিক ট্রেন
advertisement
কোচবিহারের ধলুয়াবাড়ি এলাকায় বেশ কিছু মানুষ এই পেশার সাথে জড়িত। এদের মধ্যে নামে এক ব্যক্তি জানান, “এই শীতল পাটি তৈরি করা একেবারেই সহজ কাজ নয়। কষ্টসাধ্য পরিশ্রমের মাধ্যমে এক একটি শীতল পাটি তৈরি করা হয়। প্রথমে ভাল মানের বেত গাছ থেকে ছাল ছাড়িয়ে নিয়ে রোদে শুঁকিয়ে নিতে হয়। তারপর জলে ভিজিয়ে আঁশ ছাড়াতে হয়। আঁশ ছাড়ানো সেই ছাল সেদ্ধ করতে ভাতের মাড় ও কিছু অন্যান্য উপকরণের সাথে। তারপর রোদে আবারও শুঁকোতে হয়। মূলত এই কারণেই শীতল পাটির রঙ সাদা হয়ে থাকে। তবে অন্যান্য বিভিন্ন রঙের জন্য রঙ দিয়ে আবার সেদ্ধ করতে হয় সেই ছাল।”
আরও পড়ুনঃ এই মুহূর্তে কোথায় অবস্থান করছে সাইক্লোন বিপর্যয়? কবে আছড়ে পড়বে উপকূলে? জানিয়ে দিল হাওয়া অফিস
বাড়িতে বসে শীতল পাটি বুনতে বুনতে জানান, “এক একটি শীতল পাটি সম্পূর্ন তৈরি করতে প্রায় এক সপ্তাহের মতন সময় লেগে থাকে। তবে পাটির মাপের উপর নির্ভর করে সেই সময়। আর এই পাটির চাহিদা গরম পড়লেই অনেকটা বেড়ে যায়। বিভিন্ন হাটে পাইকারি প্রায় ৭০০ টাকা দাম থেকে শুরু করে ১৫০০ টাকা দামে এইগুলি বিক্রি হয়। আর খুচরো নিলে আরও একটু বেশি দাম পড়ে। তবে এই পাটি বোনার কাজ এনারা করছেন বংশানুক্রমিকভাবে। দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হয়েছে তাঁদের এই পাটি বোনার কাজ করতে করতে। তবে এই পাটির বাজার ও চাহিদার বিষয় দীর্ঘ সময়ের পরেও পরিবর্তিত হয়নি আজও।”
Sarthak Pandit