TRENDING:

মহানন্দা অভয়ারণ্যে ব্রিটিশ আমলের শতাব্দী প্রাচীন বনবাংলো ঘিরে পর্যটকদের উৎসাহ

Last Updated:

Sukna Forest Bungalow: দোতলা কাঠের বাংলোটির প্রতি কোণেই লেগে আছে ভালবাসা

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
সুকনা : বয়স পেরিয়েছে আশির ঘর। কেউ কেউ আবার বলেন বয়স হয়েছে ১০০-র বেশি৷ নানা ইতিহাস সঙ্গী করে আজও দাঁড়িয়ে সুকনা বনবাংলো৷ বড়দিন হোক বা বর্ষশেষের আনন্দ-যা-ই হোক না কেন, ছুটি কাটাতে বহু মানুষ দলে দলে কার্শিয়ং বা দার্জিলিংমুখী। তাদের অনেকেই ওঠা-নামার সময় দেখে যাচ্ছেন সুকনা বন বাংলো। যা কার্যত ইতিহাস ছোঁয়ার সামিল।
মহানন্দা স্যাংচুয়ারির মধ্যে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে সুকনা ফরেস্ট বাংলো
মহানন্দা স্যাংচুয়ারির মধ্যে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে সুকনা ফরেস্ট বাংলো
advertisement

দোতলা কাঠের বাংলোটির প্রতি কোণেই লেগে আছে ভালবাসা।সুকনা টয় ট্রেন স্টেশন থেকে কয়েক পা এগোলেই চোখে পড়বে সুকনা বনবাংলো লেখা একটা বোর্ড। ঘন সবুজ জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে বুক চিরে চলে গিয়েছে কালো পিচ ঢাকা রাস্তা। রাস্তার পাশ কাটিয়ে ছুটেছে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের লাইন। আর তার পাশেই মহানন্দা স্যাংচুয়ারির মধ্যে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে সুকনা ফরেস্ট বাংলো।

advertisement

লোহার গেট ঠেলে একবার ঢুকে পড়লেই হল। বাহারি ফুল, ঘন সবুজ জঙ্গল, পাহাড়ি ঝোড়া আর কাঠের দোতলা বাড়ি। এই বাংলোর সঙ্গে জড়িয়ে আছে অনেক ইতিহাস। অনেকে বলেন ব্রিটিশরা এই বাংলো বানিয়েছিলেন চা বাগানের কাজ দেখাশোনা করার জন্যে। স্বাধীনতার পরে অবশ্য এই বাংলোর ব্যবহার হয়ে আসছে পুরোপুরি ভাবে বন দফতরের আধিকারিকদের জন্য। এখানে এসে থাকার সুযোগ অবশ্য বাকিদেরও মিলতে পারে, তবে তার জন্য বিশেষ অনুমতি নিতে হবে বন দফতরের।

advertisement

আরও পড়ুন :  শীতের উৎসবের সাজে সেজে উঠছে কলকাতা, আজ বড়দিন পালন অনুষ্ঠানের সূচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী

বাংলোয় প্রবেশ করলেই চোখে পড়বে একটা ফোটো ফ্রেম। যেখানে একাধিক বিখ্যাত ব্যক্তি যাঁরা এখানে এসেছিলেন, তাঁদের স্বাক্ষর করা আছে। ১৯৫৪ সালের ৫ নভেম্বর এখানে এসেছিলেন দেশের প্রথম  প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু। সুকনা বন বাংলোয় তাঁর উপস্থিতি  স্বাক্ষর করে রাখা আছে। এছাড়া এখানে এসেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত বিধানচন্দ্র রায়৷ তাঁরও স্বাক্ষর রাখা আছে ফটো ফ্রেমে বাঁধিয়ে।

advertisement

২০১১ সালে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে একাধিকবার উত্তরবঙ্গ সফরে এসে এই সুকনা বন বাংলোয় থেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আঁকা ছবি রাখা আছে বনবাংলোর বারান্দায়৷ এ ছাড়া সুকনা বনবাংলো নিয়ে লেখা তাঁর একটি কবিতা রাখা আছে এই বাংলোয়। দীর্ঘ দিনের এই বাংলোয় আসা যাওয়া করেছেন বহু বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব। আর তাই এই বন বাংলো ঘিরে মানুষের উৎসাহ চোখে পড়ার মতো।

advertisement

আরও পড়ুন :  দুয়ারে রেশন প্রকল্পে দেওয়া হচ্ছে প্লাস্টিক চাল! রেশন দেওয়া বন্ধ করলেন ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

তবে এই বাংলো সন্নিহিত জঙ্গল ফের পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে নানা পরিকল্পনা নিচ্ছে রাজ্য বন দফতর। মহানন্দা স্যাংচুয়ারি পার্ক ফের সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এখন টিকিট কাউন্টারের স্থান বা গেট আগের মতো নেই৷ বয়সের ছাপ যেমন পড়েছে তেমনই বহুদিন রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়ার কারণে শ্যাওলা জমেছে। বৃষ্টির কারণে পঞ্চ নদী খোলার ওপরে থাকা সেতুতে ফাটল ধরেছে। ফলে এখন আর জঙ্গলে বাস সাফারি করানো হচ্ছে না। বন দফতর চেষ্টা করছে সেতু সারিয়ে ফের বাস সাফারি শুরু করে দেওয়ার জন্য। যার ফলে পর্যটকদের আসা যাওয়া আরও বাড়বে।সুকনা বন বাংলোর সঙ্গেই আছে একটা মিউজিয়াম। যেখানে নানা জীবজন্তুকে দেখার ও চেনার সুযোগ মিলবে।

বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
মহানন্দা অভয়ারণ্যে ব্রিটিশ আমলের শতাব্দী প্রাচীন বনবাংলো ঘিরে পর্যটকদের উৎসাহ
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল