গত কয়েকদিন ধরে চলছিল গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় অধীনস্থ কলেজগুলিতে তৃতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষা। মালদহের সামসি কলেজে পরীক্ষায় বসে চাঁচল, হরিশ্চন্দ্রপুর ও গাজোল কলেজের পরীক্ষার্থীরা। বুধবার ছিল পরীক্ষার শেষ দিন। পরীক্ষা শেষে বেরোনোর আগে বেশ কয়েজন ছাত্র কলেজের চেয়ার-টেবিল এবং জানলা দরজা, ফ্যান, নোটিশ বোর্ডে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। ঘটনা ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় সামসি কলেজ চত্বরে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় চাঁচল এবং সামসি ফাঁড়ির বিশাল পুলিশ বাহিনী।
advertisement
কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন হরিশ্চন্দ্রপুর কলেজের বেশকিছু ছাত্র টোকাটুকি করছিল। তা করতে বাধা দেন পরীক্ষাকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা পরীক্ষক। পরীক্ষার্থীদের একাংশ বই খুলে লেখার দাবি করে। কিন্তু, ছাত্ররা যাতে গণ টোকাটুকি করতে না পারে সেইজন্য পরীক্ষাকেন্দ্রে বাড়ানো হয় নজরদারি। এরপরেও হরিশ্চন্দ্রপুর কলেজের বেশ কয়েকজন ছাত্র টোকাটুকি করছিল। ওই সময় পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা একজন পরীক্ষক কয়েকজনকে নকল-সহ ধরে ফেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেন।
আরও পড়ুন : লেভেল ক্রসিংয়ে ভোগান্তির দিন শেষ, এই জেলায় তৈরি হবে একাধিক ওভারব্রিজ
অভিযোগ, এরপরই পরীক্ষা শেষে বেশ কয়েকজন ছাত্র সামসি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের নোটিশ বোর্ড, কাচের জানলা, দরজা, টেবিল বেঞ্চ-সহ আরও অন্যান্য আসবাবপত্র ভাঙচুর চালায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে চাঁচল এবং সামসি ফাঁড়ির পুলিশকে খবর দেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। ঘটনাস্থলে পুলিশ আসলেই পুলিশের উপস্থিতি টের পেতেই পরীক্ষা কেন্দ্র ছেড়ে পালায় তাণ্ডব করীরা।
আরও পড়ুন : এ বার মুর্শিদাবাদের পতাকা বিড়ির কারখানায় অভিযান আয়কর দফতরের আধিকারিকদের
সামসি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তাপস বর্মন বলেন, " ছাত্ররা এইভাবে ভাঙচুর, তছনছ করবে ভাবতেই পারিনি। হরিশ্চন্দ্রপুর কলেজের একাংশ ছাত্ররা এই তাণ্ডবলীলা চালিয়েছে। গোটা ঘটনা গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়কে জানানো হয়েছে। ভবিষ্যতে ওই কলেজের পড়ুয়াদের আসন যেন সামসি কলেজে না পড়ে, সেই আবেদন রাখা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে।
সামসি কলেজে ভাঙচুরের ঘটনার কড়া পদক্ষেপ। ব্যবস্থা নেবে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। পরীক্ষার্থীদের আচরণ ছাত্রসুলভ নয়, জানালেন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার সমূহের নিয়ামক বিশ্বরূপ সরকার।