দীর্ঘ এই যাত্রাপথ তাঁর জন্য মোটেই সহজ ছিল না। তিনি একেবারে বিনা পয়সায় পথের পশুদের চিকিৎসা করছেন। তাই প্রথম থেকেই অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাঁকে। এই বিষয়ে রাজ কুমার ঝাঁ জানিয়েছেন, “প্রায় সাত বছর আগে পথের পশুদের কথা মাথায় নিয়েই এই পথ চলা শুরু তাঁর। তারপর কেটে গিয়েছে অনেকটা সময়। সময় অতিক্রান্ত হয়েছে, দিন পাল্টেছে তবে পথের পশুদের জন্য তাঁর ভালবাসা বিন্দুমাত্র কমেনি। উল্টে ক্রমাগত আরও বেড়ে উঠেছে। তাঁর চিকিৎসার মাধ্যমে তিনি এখনও পর্যন্ত সুস্থ করে তুলেছেন বহু পথের পশুদের। তবে সেই সংখ্যা গুণে বলা প্রায় অসম্ভব।”
advertisement
আরও পড়ুন: সব সবজির বদলে চাষ করুন এই দুই! মুনাফা তো পাবেন দ্বিগুণ, বাড়িতেই পুষ্টির ভান্ডার
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তিনি আরও জানান, “আগামী দিনেও তিনি ঠিক এই ভাবেই তার এই কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে চান। প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পথের পশু বিভিন্নভাবে আক্রান্ত হচ্ছে। তাঁদের বেশিরভাগকে সাধারণ মানুষ দেখেও না দেখার ভান করে পাশ কাটিয়ে চলে যায়। তবে সমাজের সচেতন মানুষদের উচিত এই সমস্ত অবলা প্রাণীদের পাশে এসে দাঁড়ানো।” জেলার এক বাসিন্দা কাঞ্চন কান্তি ঘোষ জানান, “বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ মানুষদের মধ্যেই মানবিকতার অভাব দেখা যায়। তবে সমাজের বুকে এইরকম রাজকুমার ঝাঁ-এর মতন যুবকের আরও অনেকটা প্রয়োজন রয়েছে। তবেই পথ পশুরা সুস্থ সবলভাবে বাঁচতে পারবে।”
সমাজের বাকি মানুষের উচিত ঠিক একই রকম ভাবে এই সমস্ত অবলা প্রাণীদের পাশে এসে দাঁড়ানো। যাতে তাঁরাও একটা সুস্থ পরিবেশে বাঁচতে পারে। যদিও এখনও বহু মানুষ রাজকুমারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন।
Sarthak Pandit





