ভারত-চিন সীমান্ত না থুলা। গ্যাংটক থেকে না থুলা পর্যন্ত রেল লাইন পাতার জন্য জমি সমীক্ষার কাজও শুরু করেছে ভারতীয় রেল। এতে সীমান্ত সুরক্ষা বাড়তি গুরুত্ব পাবে। সেনাবাহিনীর রসদ থেকে অস্ত্র সরঞ্জাম পৌঁছনোর ক্ষেত্রে এখন ভরসা বলতে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। ফি বছর বর্ষায় ধসের জেরে যা বিপন্ন হয়ে পড়ে। রেলপথে ইন্দো-চিন সীমান্ত জুড়লে সেনা জওয়ানদেরও বাড়তি সুবিধে হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: বনভোজন বন্ধ হতেই ঝাঁকে ঝাঁকে পরিযায়ী পাখিরা ফিরে এল
রেল প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০২৩-এর মার্চ মাসের মধ্যে সেবক ও রংপোর মধ্যে রেললাইন চালুর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এই কাজ সম্পূর্ণ হলেই রংপো থেকে গ্যাংটক এবং গ্যাংটক থেকে না থুলা পর্যন্ত রেলপথের কাজ শুরু করা হবে।
সেবক ও রংপোর মধ্যে রেলপথের শিলান্যাস হয়েছিল ২০০৯-এর ৩০ অক্টোবর। তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এই প্রকল্পের শিলান্যাস করেছিলেন। মাঝে কেটে গিয়েছে ১২ বছর। দীর্ঘদিন ধরেই প্রকল্পটি আটকে ছিল জমি জটে। ২০১৮ সালে জট কাটিয়ে ফের শুরু হয় প্রকল্পের কাজ। এখন জোর কদমে চলছে সেবক থেকে রংপো রেল লাইন বসানোর কাজ। পাহাড় কেটে তৈরি হচ্ছে রেল লাইন।
আরও পড়ুন: সপ্তাহে ৩দিন নয়! প্রতিদিন ছুটবে এনজেপি-আলিপুরদুয়ার ভিস্টাডোম কোচ
সেবক থেকে রংপোর দূরত্ব ৪৫ কিলোমিটার। এর মধ্যে ৪১ কিলোমিটার দার্জিলিং জেলার আওতায়। বাকি ৪ কিলোমিটার সিকিমের অন্তর্গত। গোটা রুটের বেশিরভাগটাই জাতীয় সড়কের বাইরে থাকবে। তিস্তার কাছাকাছি গিয়ে রেল ট্র্যাক দেখা যাবে। গোটা রেলপথে তৈরি হচ্ছে ১৪টি টানেল। এর মধ্যে ১০ নম্বর টানেলটি সবচেয়ে দীর্ঘ ৫.৩ কিলোমিটার লম্বা। তারখোলায় রয়েছে সেই টানেল।
সেবক থেকে রংপো পর্যন্ত থাকবে পাঁচটি স্টেশন। সেবকের পরের স্টেশন রিয়াং। তার পর একে একে আসবে তিস্তা, মল্লি এবং সবশেষ রংপো। আজ সেবকে এক নম্বর টানেলের কাজ খতিয়ে দেখেন রেল প্রতিমন্ত্রী। তিনি জানান, এই রেলপথ খুলে গেলে একদিকে যেমন বাড়বে ব্যবসা, বাণিজ্য, সেরকমই পর্যটনের প্রসারেও নতুন দিশা দেখাবে। এলাকার আর্থ সামাজিক উন্নয়ন হবে। ২০২৩-এ সেবক থেকে সিকিমের পথে পর্যটক, যাত্রী নিয়ে ছুটবে ট্রেন। চলবে পণ্যবাহী ট্রেনও।