তাঁদের মধ্যে কেউ ভাবতেই পারেননি একদিন এই ভাবে চাকরি হারাতে হবে। চাকুরি হারিয়ে এখন বিপাকে তাঁরা। এখন আর নতুন করে পরীক্ষা দিয়ে অন্য চাকরিতে যোগদানও সম্ভব নয়, কারণ অনেকের বয়সের ঊর্ধ্বসীমা পেরিয়ে গিয়েছে। তাই এখন কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে জেলার চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
advertisement
আরও পড়ুন: প্রশ্নপত্রে একাধিক ভুল! এবার প্রাথমিক টেট নিয়ে বড় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের
চাকরিহারা বাপ্পাদিত্য রায় বলেন, ‘রেলের ডি গ্রুপের চাকরি ছেড়ে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক তারপর হাইস্কুলের শিক্ষকতায় যোগদান করি। হাইস্কুলের শিক্ষকতায় সম্মান রয়েছে, বেতন বেশি। তাই এই চাকরি করছিলাম। যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও কোর্টের রায়ে আমাদের চাকরি গিয়েছে। এখন কী করব কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না।’ শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালের প্যানেলের চাকরিপ্রার্থীরা ২০১৯ সালে জেলার বিভিন্ন হাইস্কুলে শিক্ষক, শিক্ষিকা হিসাবে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: গরমে হিমালয়ের হিমবাহ দ্রুত গলে যাচ্ছে! ধরা পড়ল ইসরোর ক্যামেরায়, ভারতে বড়সড় বিপর্যয়ের ইঙ্গিত
সেই সংখ্যা প্রায় এক হাজার রয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে জেলায় চাকরিহারা শিক্ষক, শিক্ষিকাদের নামের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে, দাবি শিক্ষা দফতরের। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে পুরো প্যানেল বাতিল হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়তে হচ্ছে ‘যোগ্য’ প্রার্থীদেরও, এমনটাই দাবি। মালদহ টাউন হলে জমায়েত হন তাঁদের একাংশ। তাঁদের দাবি, সিবিআই অযোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নামের তালিকা প্রকাশ করেছিল। তার পরেও প্যানেলের সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কেন বাদ দেওয়া হল, প্রশ্ন তোলেন তাঁরা।
হরষিত সিংহ