পঙ্কজ জানায়, ছোটবেলা থেকেই তার পড়াশোনা করতে বেশ ভাললাগে। তবে অনেকটা বাধা-বিপত্তি পেরোতে হয়েছে তাঁকে। বাড়ি থেকে অনেকটা দূরে থাকতে হয়েছে শুরু থেকেই। তাই মাধ্যমিকে তাঁর এই সাফল্যের কারণে তাঁর পরিবার রীতিমত খুশি। আগামী দিনে সে পড়াশোনা নিয়ে আরও অনেকটা এগিয়ে যেতে চায়। যদিও এই বিষয়ে তার পরিবার সব সময় পাশেই রয়েছে। তবুও আর্থিক দুরবস্থা বেশ কিছুটা ভাবিয়ে তোলে তাকে। তবে শুরু থেকেই তার স্কুল শিক্ষকেরা অনেকটা সাহায্য করেছেন। তাই তাঁর এই সাফল্য সে পেয়েছে।
advertisement
পঙ্কজ দাদু শচীন রায় জানান, মাত্র এক বছর বয়সেই পঙ্কজের মা মারা গিয়েছেন। তারপর থেকে দাদু বাড়িতে থেকেই সে বড় হয়েছে। নাতির এই সাফল্যে তিনি এবং গোটা পরিবার খুশি। আগামী দিন নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী নাতি যতদূর পড়তে চায়। ততদূর তারা পড়াবেন।
এছাড়া টাউন হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক লিটন দাস জানান, স্কুলের এই ছাত্রের সফলতায় তিনি খুশি। হয়তো স্কুলের থেকে সেরা দশে কেউ নেই। বর্তমান সময়ে পঙ্কজের ভবিষ্যৎ দিনের ইচ্ছা পড়াশোনা নিয়ে আরও অনেক দূর এগিয়ে যাওয়া। বিশেষভাবে সক্ষম এবং দুস্থ পঙ্কজের আগামী দিনে আরও অনেকটা সহায়তা প্রয়োজন। যাতে সে তার নিজের লক্ষ্য পূরণ করে সকলের স্কুলের নাম উজ্জ্বল করে তুলতে পারে। তাই সরকারি কিংবা বেসরকারি আর্থিক সাহায্য তার অনেকটাই প্রয়োজন।
সার্থক পণ্ডিত