সাইকেল চালিয়ে একটানা গ্রামের দিকে এগিয়ে আসতেই গ্রামের সাধারণ মানুষরা তাকে আটকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এরপর মালদার ওই গ্রামের গ্রামবাসীরা জানতে পেরেই তাকে ফুলের মালা দিয়ে সংবর্ধনা জানান। সে তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর পরই আর্থিকভাবে সাহায্যেরও হাত বাড়িয়ে দেন গ্রামবাসীরা। জানা গিয়েছে, আদিবাসী ওই তরুণের নাম অলোক মাহাতো, বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিরাহাট গ্রাম।
advertisement
আরও পড়ুন: ৫০ বছর পর যা হল এই স্কুলে! আনন্দে লাফাচ্ছেন পড়ুয়ারা, চোখে আনন্দ অশ্রু শিক্ষক থেকে অভিভাবকদের
কেদারনাথ যাত্রী আলোক মাহাতো জানান, “দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল কেদারনাথ দর্শনের। কিন্তু স্বপ্ন থাকলেও আর্থিক প্রতিকূলতায় এই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করা হয়ে উঠছিল না। পরিবারের আর্থিক অনটনের পাশাপাশি নিজের কোনরকম আর্থিক আর ইনকাম না থাকায় স্বপ্নটা স্বপ্ন হিসেবে দেখতে হত। তবে বর্তমানে সেই স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। টাকা পয়সা ছাড়াই বাড়িতে না জানিয়ে একমাত্র সাইকেলকে ভরসা করে রওনা হয়েছি কেদারনাথ দর্শনের উদ্দেশ্যে। সাইকেলে করে বাড়ি থেকে বেরোনোর পর মালদহে ঢোকার পথে বাড়ি থেকে ফোন আসে। এরপর বাড়িতে জানালে ভালভাবে যাত্রা করার অনুমতি দেওয়া হয় পরিবারের পক্ষ থেকে। এরপরই আজ মালদহে এসে পৌঁছেছি। আশা করছি যাত্রা সফল হবে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বর্তমানে শুধু সাইকেল আর মোবাইল ফোনের উপর নির্ভর করেই কেদারনাথের শিবের দর্শন করতে চলেছেন অলোক মাহাতো। তার আশা রাস্তায় সাধারণ মানুষজন তাকে সাহায্য করবে এবং উৎসাহ যোগাবে। এদিন দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে মালদহের কনুয়া গ্রামে প্রবেশ করতেই। সেখানে গ্রামের সাধারণ মানুষরা তাকে দেখতে পেয়ে থামিয়ে সংবর্ধনা দিয়ে কিছু আর্থিক সাহায্য করেন। পাশাপাশি যাত্রা পথের জন্য তাকে ফল, মিষ্টি খাবার তুলে দেওয়া হয় গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে।
জিএম মোমিন