দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সাংসদের চেয়ারম্যান সন্তোষ হাঁসদা বলেন, “কাটনা ও বাদমুলুকের স্কুলগুলিকে দ্রুত চালু করার জন্য সমস্ত প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রশাসন। পাশাপাশি রাঘবনগর ও দেওগাঁতেও অলচিকি লিপিতে শিক্ষা দেওয়ার কাজ দ্রুত শুরু হবে।”
advertisement
বালুরঘাট সাব-ডিভিশনের বাদমুলুক এবং কাটনা এলাকায় তৈরি হয়েছে এই দুই নতুন স্কুল। বাদমুলুক গ্রামের স্কুল ভবন সম্পূর্ণ হলেও এখনও পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ না হওয়ায় সেখানে শিক্ষাকার্যক্রম শুরু করা যায়নি। অন্যদিকে, কাটনা গ্রামে স্কুল ভবন নির্মিত হলেও সেখানে এখনও রাস্তা তৈরি করা সম্ভব হয়নি। স্কুল ভবনের সামনে সরকারি জমিতে বহু বছর ধরে অবৈধভাবে বসবাস করছেন বেশ কয়েকটি পরিবার। স্কুলের প্রবেশপথ তৈরির জন্য ওই পরিবারগুলিকে অন্যত্র পুনর্বাসনের পরিকল্পনা নিলেও, এলাকাবাসীর প্রতিবাদের মুখে সেই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হয়নি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, তাঁরা বিগত ৩০ বছর ধরে সেখানে বসবাস করছেন। স্কুল নির্মাণের আগে প্রশাসনের তরফে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে তবেই স্কুলের রাস্তা তৈরি করা হবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি। ফলে স্কুল ভবনটি তৈরি হলেও এখনও সেখানে পৌছনোর কোনও রাস্তা নেই। জলের মধ্যে আটকে পড়ে আছে। বর্ষার জল জমে যাওয়ায় স্কুলে প্রবেশের একমাত্র রাস্তাও কার্যত বন্ধ হয়ে পড়েছে। পুনর্বাসন এবং পরিকাঠামোগত ঘাটতি দ্রুত সমাধান না হলে এই মহৎ উদ্যোগ বাস্তবায়ন প্রশ্নের মুখে পড়বে বলেই মনে করছেন শিক্ষামহল।
সুস্মিতা গোস্বামী





