ছোট টব এমনকি ১২ ইঞ্চি টবেও এর চাষ খুব সহজেই করা সম্ভব। গরম ও আদ্র জলবায়ু কামরাঙা চাষের উপযোগী। কামরাঙা গাছের চারা রোপনের সময় খেয়াল রাখতে হবে গাছের গোড়া যেন মাটি থেকে আলাদা না হয়ে যায়। চারা গাছটিকে সোজা করে লাগাতে হবে।
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
advertisement
সেইসঙ্গে গাছের গোড়ায় মাটি কিছুটা উঁচু করে দিতে হবে এবং মাটি হাত দিয়ে চেপে চেপে দিতে হবে। যাতে গাছের গোড়া দিয়ে বেশি জল না ঢুকতে পারে। এক্ষেত্রে একটি সোজা দন্ড দিয়ে গাছটিকে বেঁধে দিতে হবে। চারা লাগানোর পর প্রথমদিকে জল কম দিলেও আস্তে আস্তে জল বাড়াতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে যেন গাছের গোড়ায় জল জমে না থাকে। আবার বেশি শুকিয়েও না যায়।
এবিষয়ে গাছ বিশেষজ্ঞ বিদ্যুৎ মহন্ত জানান, \” কামরাঙার চারা রোপণের পর ১ মাস নিয়মিত সেচ প্রদান করতে হবে। শুষ্ক মৌসুমে এবং ফল ধরার পর প্রতি ১৫ দিন পর পর অন্তত ২ থেকে ৩ বার সেচ দিলে ফল ঝরার পরিমাণ হ্রাস পায় এবং ফলন বৃদ্ধি পায়। জুন-সেপ্টেম্বর মাসে কামরাঙার ফুল আসে এবং সেপ্টেম্বর-জানুয়ারি মাসে ফল পাকে। অধিক ফলন পেতে হলে প্রতিবছর একবার ডালগুলি কেটে কামরাঙা গাছকে ছোট রাখতে হবে। ১০-১৫ দিন অন্তর অন্তর টবের মাটি কিছুটা খুঁড়ে দেওয়া প্রয়োজন।\”
কামরাঙার গাছে জল বেশি হলেও পাতা হলুদ বর্ণ ধারণ করে ঝরে যায়। প্রথাগত চাষের পাশাপাশি যে জমিতে জলের যোগান ভাল সেই সমস্ত জমিতে যদি একটু যত্ন সহকারে কামরাঙা চাষের ব্যবস্থা করেন তাহলে তাদেরও আর্থিক সক্ষমতা ফিরবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিদ্যুৎ মহন্ত।
সুস্মিতা গোস্বামী





