গরুর দাবি নিয়ে থানা চত্বরেই ঘাটি গেড়েছেন দুপক্ষই। তাদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ একবার ফয়সালার চেষ্টা করেছে। কিন্তু দুপক্ষই গরুর সম্পর্কে গোপন কিছু কথা তুলে ধরা এবং প্রতিবেশীদের সাক্ষ্য দেওয়াতে পুলিশ আরও সমস্যায় পড়েছে।
প্রসঙ্গত, গরু নিয়ে বিবাদ শুরু হয় মাস তিনেক আগে। গরুর আসল মালিক বলে যিনি দাবি করছেন সেই কল্পনা ঘোষ, তার বাড়ির গরু গুলিকে ছেড়ে দিতেন মাঠে খাওয়ার জন্য। সকালে গরুগুলি ছেড়ে দেওয়া হলেও, প্রতিদিন রাতেই কল্পনা ঘোষের কংগ্রেস পাড়ার বাড়িতে ফিরে আসত গরুগুলি।
advertisement
আরও পড়ুন – Digha News: সাবধান দিঘা গিয়ে ‘এই’ পুলিশের পাল্লায় পড়েননি তো, ফিল্মি কায়দায় যা যা হল
কিন্তু মাস তিনেক আগে অন্য গরুগুলি ফিরে এলেও, বিতর্ক তৈরি হওয়া গরুটি ফেরেনি। এরপর তিনি খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেন। মাস কয়েক ধরে তিনি খোঁজাখুঁজির পর সেটাকে না পেয়ে, সম্প্রতি এক প্রতিবেশীর মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন বালুরঘাট শহরের নেপালি পাড়া এলাকার সাবিত্রী সাহার বাড়িতে তার গরুটি বাঁধা রয়েছে।
পাশাপাশি, যার বাড়িতে ওই গরু বাধা ছিল, সেই সাবিত্রী সাহা অনেক বোঝাবার চেষ্টা করে যে ওই গরুটি বছর তিনেক আগে হারিয়ে গিয়েছিল। মাসকয়েক আগে সে রাস্তায় এই গরুটিকে দেখে চিনতে পারেন এবং তারপরে তিনি তার বাড়িতে ফেরত নিয়ে আসেন। তাই এই গরুটিকে কোনভাবেই তিনি কাছ ছাড়া করবেন না।
আরও পড়ুন – Digha News: সাবধান দিঘা গিয়ে ‘এই’ পুলিশের পাল্লায় পড়েননি তো, ফিল্মি কায়দায় যা যা হল
কিন্তু কথাবার্তায় কোনরূপ মীমাংসা হতে না পেরে কল্পনা ঘোষ গরুটিকে নিয়ে যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে সাবিত্রী সাহা বালুরঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এদিন দিনভর বালুরঘাট থানার পুলিশ দুই দাবিদারকে বোঝানোর চেষ্টা করলেও কেউ রাজি হয়নি। শেষ পর্যন্ত পুলিশ সিদ্ধান্ত নেয়, গরুটিকে প্রথমে রাস্তায় ছেড়ে দেওয়া হবে। তারপর সে যার বাড়িতে যাবে গরুটির মালিক হিসেবে তাকেই ধরা হবে। তাতেও রাজি না হওয়ায় এদিন এই চর্চা বন্ধ রাখা হয়েছে। বালুরঘাট থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা জানান, “গরুর তো আর মালিকানার কাগজপত্র হয় না। তাই আমরা তদন্ত করে দেখছি, বিষয়টি কী ভাবে সমাধান করা যায়।”
ফের দুই পক্ষকেই ডাকা হয়েছে। তবে,এই গরুর প্রকৃত মালিক কে? খুঁজে বের করবে সেটাই এখন দেখার। তবে দুপক্ষই তাদের গরু ফেরত পাবার দাবিতে অনড় তাদেরই বা কিভাবে বোঝাবে পুলিশ, তাও দেখার।বালুরঘাট শহরের এই ঘটনায় ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
Susmita Goswami