আরও পড়ুনঃ সর্বনাশ! সাতসকালে পুনর্ভবা নদীর বাঁধে ভয়াবহ ভাঙন, হু হু করে ঢুকছে জল, ভাসছে গঙ্গারামপুর
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকার বাড়ি তপনে। তবে সে দীর্ঘদিন ধরে বালুরঘাটে মামার বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করত। হঠাৎই ফেসবুকে তার সঙ্গে বিহারের এক যুবকের আলাপ হয়। এরপরেই ওই নাবালিকা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। আগে থেকেই বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষা করছিল প্রেমিক। দু’জনে সরকারি বাসে চেপে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেয়।
advertisement
নাবালিকার মামা বলেন, “ভাগ্নির খোঁজ না পেয়ে বালুরঘাট থানায় নিখোঁজের অভিযোগ করা হয়েছিল। পরে পুলিশ জানায় ওকে পাওয়া গিয়েছে। নদিয়ার কালীগঞ্জ থানায় আছে। তাদের অনুমান, বিহারের যে যুবকের সঙ্গে ভাগ্নি পালাচ্ছিল তাতে মনে হচ্ছে ওকে ফুসলিয়ে পাচারের ছক কষা হয়েছিল। এ যাত্রায় বাস কর্মীর বুদ্ধিমত্তায় রক্ষা পেল।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তবে, বাড়ি থেকে নিখোঁজের পরে বালুরঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিল নাবালিকার পরিবার। বালুরঘাট থানার পুলিশ ওই নাবালিকার খোঁজে তল্লাশিও শুরু করেছিল। তবে দুপুরের পরে নদিয়ার কালীগঞ্জ পুলিশের পক্ষ থেকে বালুরঘাট থানায় যোগাযোগ করে জানায়, বালুরঘাটের এক নাবালিকা ও তার প্রেমিককে ধরে রেখা হয়েছে। এরপরেই কালিগঞ্জ থানার উদ্দেশে রওনা দেয় বালুরঘাট থানার পুলিশ। এদিন তাদের বালুরঘাট কোর্টে তোলা হয়। হাসপাতালে নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষার পরে তাকে শিশু কল্যাণ কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ধৃত যুবককে জেলে পাঠানো হয়। তবে ওই নাবালিকা ও তার প্রেমিককে যে বাসকর্মী কালীগঞ্জ থানায় তুলে দিয়েছিলেন তাঁর নাম জানা যায়নি।