বালুরঘাটের ট্যাংক মোড় এলাকায় ছোট্ট আরুহী তার মা বাবার সঙ্গে থাকে। বালুরঘাটের একটি বেসরকারি স্কুলে পড়াশোনা করে। পড়াশোনাতেও তার বিস্তর সুনাম রয়েছে। স্কুলে ও ক্লাসে ও তাকে সবাই এক ডাকেই চেনে। লেখা পড়ে বোঝার উপায় নেই, আরুহীর বয়স মাত্র ৮।
আরুহীর বাবা সানি মিশ্র শিক্ষা দফতরের আধিকারিক পদে কর্মরত। তাঁর লেখা দেখেই গল্প লিখতে আগ্রহ আরুহীর। বাবার বই প্রকাশ হলে বাবার নাম কেটে, সেখানে নিজের নাম লিখে দিত একরত্তি। সেকান থেকেই শুরু বইয়ের প্রতি ছোট্ট খুদের ভালবাসা। মা-বাবার উৎসাহকে কাজে লাগিয়ে পুরোদস্তুর লেখক হয়ে উঠেছে আরুহী। পড়াশোনার ক্ষেত্রে ভালবাসার সাবজেক্ট অঙ্ক। বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করে ভবিষ্যতে চিকিৎসক হতে চায় সে। পাশাপাশি লেখাও চালিয়ে যেতে চায়। এখনও পর্যন্ত আরুহী ৫০ টি গল্প লিখেছে, প্রকাশিত হয়েছে ৩৫টি গল্প। লক্ষ্য এবারের গ্রীষ্মের ছুটিতেই বাকি ৫০ টি গল্প লিখে ফেলা। তার প্রিয় লেখক রাস্কিন বন্ড ও সুধামূর্তি।
advertisement
আরহীর মা মনীষা মিশ্র জানান, “একটা গল্পের বই বাড়িতে আসলে যত ক্ষণ না সেটা শেষ হচ্ছে, তত ক্ষণ পড়াশোনায় মন বসে না আরুহীর। গল্পের বই দিয়েই তার দিনের শুরু এবং তা দিয়েই দিনের শেষ।”
পড়াশোনার ফাঁকে যখনই সময় পায়, তখনই হয় গল্প পড়ে কিংবা গল্প লেখে ছোট্ট আরুহী। ভারতীয় ধ্রুপদ সঙ্গীতেও চর্চা রয়েছে তাঁর। সমাজ মাধ্যমে একাধিক লেখক আরুহীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে এত অল্প বয়সে বই প্রকাশ করার জন্য। মাত্র ৮ বছরের শিশুর এহেন প্রতিভায় গর্বিত জেলাবাসীও।
সুস্মিতা গোস্বামী





