মাঝে মধ্যেই চুল্লি বিকল হয়ে পড়ে এবং তা মেরামত করে তুলতে সময় যায় অনেকটাই। তখন আবার খোলা আকাশের নীচে দাহ করতে হয় শব। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মৃতদেহ দাহ করার সময় চিমনী দিয়ে নির্গত ধোঁয়া ও দুর্গন্ধে তাঁরা টিকতে পারছেন না। এই সমস্যার কথা বারংবার জানিয়েও কোন লাভ হয়নি। এবার শেষবারের মত প্রচেষ্টা করছেন গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে। তবে, এরপরেও যদি কোন ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে মৃতদেহ পুড়ানোই বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।
advertisement
আরও পড়ুন: শরীরের বহু জটিল রোগের যম কুমড়ো শাক! খেলেই রোগ মুক্তি! জানুন চিকিৎসকের মত
আরও পড়ুন: অনেকদিন বাদে বড় খবর, এই জেলায় হবে মেগা রিক্রুটমেন্ট, রইল সব খবর
বালুরঘাটের খিদিরপুর শ্মশানে গড়ে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ টি মৃতদেহ দাহ হয়। শুধু বালুরঘাট শহরই নয়, শহর লাগোয়া আশপাশের গ্রাম থেকেও শব দেহ নিয়ে আসেন এলাকাবাসী। চলতি বছর জুন মাসে প্রায় ৩৬ লক্ষ টাকা ব্যয় করে নতুন করে খুলে দেওয়া হয় বৈদ্যুতিক চুল্লি। তার আগে প্রায় এক বছর বন্ধ রাখা হয়েছিল। তখন পুরসভার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল যে, ২০১৫ সালে যে চুল্লি বসানো হয়েছিল তা আধুনিক মানের ছিল না। যে কারণে মাঝে মাঝেই তা বিকল হয়ে পড়ত। ২০২৪ সালে তাকে নতুন করে মেরামত করে এবং বেশ কিছু যন্ত্রাংশ পরিবর্তন করে ৩৬ লক্ষ টাকা ব্যয় করেছে পুরসভা এবং সেই সময় পুরসভার পক্ষ থেকে দাবি করা হয় এখন থেকে আর সমস্যায় পড়তে হবে না। কিন্তু ৬ মাস যেতে না যেতেই চিমনি থেকে বেরোনো ধোঁয়া ও তার দুর্গন্ধে অতিষ্ট দুটি ওয়ার্ডের বাসিন্দারা।
সুস্মিতা গোস্বামী





