স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, শুধুমাত্র লোক দেখানোই কাজ হয়েছে, কাজের কিছু হয়নি। কর্মসংস্থান ও কর্মসংস্কৃতির বদলে দিনরাত অসামাজিক কার্যকলাপ ও দুষ্কৃতীদের আখরায় পরিণত হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন নিরব। বেকার যুবক যুবতীদের কর্মসংস্থানের প্রকল্প আজ মুখ থুবড়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: অল্প দিনে ছোট্ট ব্যবসায় আশার আলো! গ্রামীণ হাওড়ার বহু মহিলাকে উপার্জনের পথ দেখাচ্ছেন জয়িতা
advertisement
সূত্রের খবর, দীর্ঘ প্রায় কয়েক বছর আগে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের চকবাখর এলাকায় বেশ ঘটা করে ঝান্ডা লাগিয়ে জন সমাগমের মধ্য দিয়ে পাঁচিল ঘেরা প্রশস্ত চত্বরে নীল-সাদা বিল্ডিং উদ্বোধন করেন কর্মতীর্থ নামে কর্মসংস্থান প্রকল্প। বিল্ডিংয়ের দোকান ঘরগুলিতে কয়েকটি দোকানদার পসরা সাজিয়েছিল। কিন্তু সাধারণ ক্রেতা বা মানুষজন না আসাতে তাঁরা সপ্তাহ খানেক থেকে উঠে যায়। এরপর আর এমুখো হননি তাঁরা। এরপর প্রায় আট বছর পার হয়ে গেলেও সেখানে বেকার যুবক যুবতীরা তাদের কর্মসংস্থানের কোন দিশা পায়নি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ঝাঁ চকচকে বিল্ডিং এখন সমাজ বিরোধীদের দৌরাত্ম থেকে আগাছায় পরিপূর্ণ। হয়না কোনও প্রকল্পের ট্রেনিং বা হাতে কলমের কর্মশালাও। হাতের কাজ শিখে তৈরি সামগ্রীর বিক্রির সহযোগী পরিকাঠামো ও পরিবেশও নেই সেখানে। কৃষি নির্ভর ও শিল্পবিহীন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতে বেকার যুবক যুবতীর স্বার্থে উপযুক্ত কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে কর্মসংস্থানের প্রকল্প গড়ে উঠলেও কেন কর্মতীর্থের এমন বেহাল দশা, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।