আরও পড়ুনঃ দুই ট্রেকারের রেষারেষিতে মর্মান্তিক পরিণতি! বেপরোয়া গতি কাড়ল প্রাণ, জাতীয় সড়কে হাহাকার
প্রসঙ্গত, গ্রামীন এলাকার সাধারণ মানুষকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে তুলতে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বিভিন্ন সময় হাঁসের বাচ্চা, ছাগলের বাচ্চা, মুরগির বাচ্চা বিলি করা হয়ে থাকে। সেই মতো গঙ্গারামপুর ব্লকের ১১টি অঞ্চলের মানুষকে হাঁসের বাচ্চা বিলি করার উদ্যোগ গ্রহণ করে গঙ্গারামপুর ব্লক প্রাণী সম্পদ দফতর। এদিন ৫৪০ জন উপভোক্তাকে হাঁসের বাচ্চা প্রদান করার উদ্যোগ নেওয়া হয় গঙ্গারামপুর ব্লক প্রাণী সম্পদ দফতরের তরফ থেকে।
advertisement
সকাল থেকে ব্লক অফিস চত্বরে শুরু হয় হাঁসের বাচ্চা বিলির কাজ। এদিকে হাঁসের বাচ্চা বিলিকে কেন্দ্র করে গঙ্গারামপুর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন প্রাণী সম্পদ দফতরের আধিকারিক। পঞ্চায়েত সমিতির প্রাণী সম্পদ দফতরের কর্মদক্ষ এনামুল রহমান চৌধুরীর অভিযোগ, পঞ্চায়েত সমিতির ৩২ জন সদস্যের জন্য বরাদ্দকৃত ৩২০০ হাঁসের বাচ্চার মধ্যে ১০০০ হাঁসের বাচ্চা রেখে বাকি হাঁসের বাচ্চা বিলি করে দিয়েছেন প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের আধিকারিক। এ নিয়ে কথা বলতে গেলে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন প্রাণী সম্পদ আধিকারিক শর্মিলা রায়।
এরই মাঝে গ্রামবাসীরা হাঁসের বাচ্চা বোঝাই গাড়ি লুট করে নিয়ে যায়। পর্যাপ্ত নিরাপত্তার অভাবের কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। ঘটনার প্রতিবাদে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা প্রাণী সম্পদ দফতর আধিকারিককে দায়ী করেন এবং দফতরের সামনে তালা ঝুলিয়ে দেন। এই ঘটনায় এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। পরে ব্লক প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।