এই পরিস্থিতিতে তাঁর সময়ের প্রায় শতাধিক মৃতদেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আটকে গিয়েছে। এমনকি অস্বাভাবিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে ময়নাতদন্ত করতে হচ্ছে বাইরের জেলায়। সেক্ষেত্রে খরচ অনেকটাই বেড়ে যাওয়ায় সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন মৃতের পরিজনরা। ইতিমধ্যেই ওই চিকিৎসককে শোকজ করেছে কর্তৃপক্ষ। আটকে থাকা রিপোর্টগুলির কী হবে, সেই নিয়ে দুশ্চিন্তায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
advertisement
এই বিষয়ে হাসপাতাল সুপার কৃষ্ণেন্দু বিকাশ বাগ জানিয়েছেন, “ময়নাতদন্ত বিশেষজ্ঞ ওই চিকিৎসক বন্ডে এই হাসপাতালে এসেছিলেন। উনি এখন আর চাকরি করতে চাইছেন না। একটা চিঠি দিয়ে তিনি কাজে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন। ওই চিকিৎসকের এমন অনড় মনোভাবের কথা রিপোর্ট আকারে রাজ্য স্বাস্থ্য ভবনে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি হাসপাতালের জন্য চিকিৎসকও চাওয়া হয়েছে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা হাসপাতাল সূত্রে খবর, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে হাসপাতালে ফরেন্সিক বিভাগের চিকিৎসক ছিল না। জুন মাসে ফরেন্সিক বিভাগে এক মহিলা চিকিৎসক কাজে যোগ দেন। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে দেরিতে মর্গে আসা সহ বেশ কিছু অভিযোগ ওঠে। এই নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই মৃতের পরিবারদের ক্ষোভের মুখে পড়তেন চিকিৎসক। তবে এবার হাসপাতালের একমাত্র ময়নাতদন্ত বিশেষজ্ঞ এভাবে কাজে না আসায় ব্যাপক সমস্যা তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে জেনারেল মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসকদের দিয়ে আপাতত ওই বিভাগটি চালু রাখা হয়েছে। এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে ওই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।