সূত্রের খবর, বুনিয়াদপুর শহরের দু’নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত বড়াইল প্রাথমিক বিদ্যালয় যেখানে বর্তমানে প্রায় ৫০ জন ক্ষুদে পড়ুয়ার পঠনপাঠনের জন্য ওই স্কুলে রয়েছেন পাঁচজন শিক্ষক-শিক্ষিকা। অভিযোগ, অঙ্ক করতে না পারায় এদিন অঙ্কের শিক্ষক শুভশীষবাবু তিন চারজন স্কুল পড়ুয়াকে লাঠি দিয়ে মারধর করেন। এমনকি যারা অঙ্ক করতে পেরেছে তাঁরাও রেহাই পায়নি ওই শিক্ষকের হাত থেকে। এরপরেই সেই সমস্ত অভিভাবকদের নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ একটি মিটিংয়ে বসে এবং সেখানে ওই শিক্ষক অন্যায় স্বীকার করেন এবং তিনি ক্ষমা চেয়ে নেন। কিন্তু এরপরেই হঠাৎ করেই মারমুখী হয়ে ওঠে ৪-৫ জন অভিভাবক (মহিলা) ওই শিক্ষককে জুতোপেটা করতে শুরু করে। চলে বেধড়ক মারধর। রণক্ষেত্র পরিস্থিতি তৈরি হয় স্কুল চত্বরে।
advertisement
আরও পড়ুন: আবেদন করেও মিলছে না লক্ষ্মীর ভাণ্ডার -এর টাকা! সামনে এল নতুন রহস্য, না জানলে হাত কামড়াবেন
এ বিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুরের ওই স্কুলের এক ছাত্রের অভিভাবিকা পূর্ণিমা কিস্ক জানান, “লাঠি দিয়ে এমন অমানবিকভাবে শিশুদের মারবার অধিকার কেউ দেয়নি ওই শিক্ষককে। যারা অঙ্ক পেরেছে তাদেরও মারধর করেছে ওই শিক্ষক। ছোট ছোট শিশুদের এমন অমানবিকভাবে মারধর করায় ভয়ে অনেক ছাত্রই আসতে চাইছে না।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
স্কুলে রণক্ষেত্র পরিস্থিতির খবর পেয়ে ছুটে আসে বংশীহারী থানার বিরাট পুলিশ বাহিনী। উত্তেজিত জনতার হাত থেকে কোনও মতে উদ্ধার করে শুভাশিস বাবুকে থানায় নিয়ে গেলে কিছুটা স্বস্তি ফেরে। তবে বড়াইল স্কুল চত্বর এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে ব্যাপহারে।