শুধু তাই নয়, ষষ্ঠীর দিন তাদের পুজো পরিক্রমা করাতেও নিয়ে যাবে বালুরঘাট জিআরপি থানার পুলিশ। পুজো আসলেই একাধিক সংস্থা ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে জামাকাপড় দিয়ে থাকেন। তবে সেখানে নিজস্ব পছন্দমতো জামা নিতে পারে না ক্ষুদেরা। শুধুমাত্র সাইজ অনুযায়ী তাদের হাতে জামাকাপড় তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু পুজোর মুখে জিআরপি থানার উদ্যোগে চওড়া হাসি দেখা দিয়েছে এই সমস্ত পড়ুয়াদের মুখে। ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের নিজের পছন্দ করা জামাকাপড়, জুতো কিনতে পেরে খুশি।
advertisement
এই বিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট জিআরপি থানার ওসি রতন সরকার বলেন, “দুঃস্থ পরিবারের শিশুদের মুখে হাসি ফোটাতেই এই চেষ্টা। আসন্ন দুর্গাপুজোয় প্রত্যেকটি শিশুর মতো এইসমস্ত ক্ষুদে পড়ুয়ারাও যাতে নতুন পোশাক পরে আনন্দ মজা করতে পারে সেই কথা মাথায় রেখেই এই উদ্যোগ। পাশাপাশি পুজোর একটা দিন তাদের সকলকে সঙ্গে নিয়ে মণ্ডপে মণ্ডপে ঠাকুর দর্শনের ইচ্ছাও রয়েছে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বিগত প্রায় দুই বছর যাবত বালুরঘাট স্টেশনে রবিবার চলে পুলিশের উইনার্স এডুকেশন ক্লাসেস। যেখানে প্রায় ৪০ জন খুদে পড়ুয়া পড়াশোনা করে। এদিন পুলিশ কর্মীরা তাদের নিজেদের বেতনের টাকা দিয়ে ও কয়েকজনের সহযোগিতায় ওই সমস্ত স্কুল পড়ুয়াদের হাতে নতুন জামা কাপড় কিনে তুলে দেন। নতুন জামা, জুতো হাতে ক্ষুদেদের উচ্ছ্বাস দেখে স্থানীয় মানুষও পুলিশের এই কাজকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।