কোচবিহারের এক পরিবেশপ্রেমি অর্ধেন্দু বণিক জানান, “দীর্ঘ সময় ধরে বন্যপ্রাণ ভালবাসা মানুষদের কাছে এই জায়গা অনেকটাই পছন্দের। বহু বন্যপ্রাণ ফটোগ্রাফার এই জায়গায় এসে থাকেন ছবি তোলার জন্য। একাধিক প্রজাতির সাপ এই জায়গায় ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। বেশকিছু বিষধর প্রজাতির। আবার কিছু নির্বিষ প্রজাতির রয়েছে। তাইতো এখানে অনেকটাই সতর্ক ভাবে থাকতে হয়। এছাড়া পাখিদের রকমারি প্রজাতি রয়েছে। টিয়াপাখি, প্যাঁচা ও দেখতে পাওয়া যায় বেশ কয়েক রকমের। শহর থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে নিরিবিলি পরিবেশে পাখিদের আওয়াজ যেকোনও মানুষকে মুগ্ধ করবে নিশ্চিত।”
advertisement
আরও পড়ুনঃ কলকাতার এত কাছে এত ভাল জায়গাও রয়েছে! ৬০ টাকায় পৌঁছে যান সপ্তাহান্তে, সঙ্গীর সঙ্গে কাটান একান্ত সময়
তিনি আরও জানান, “শীত পড়তেই পাখিদের আনাগোনা বেড়ে যায় এই বাগানে। রকমারি পাখিদের কিচিরমিচির আওয়াজ শুনতে পাওয়া যায়। এছাড়া রয়েছে পরিযায়ী পাখিদের আগমন, যা পাখি প্রেমীদের জন্য অনেকটাই আকর্ষণের জায়গা। তাই বছরের এই সময় শহর থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে পাখিদের সর্ম্পকে জানতে যেতেই পারেন এই ছোট্ট বাগানে। নিশ্চিত ভাবে যেকোনও পাখি প্রেমীর এই জায়গা অনেকটাই পছন্দ হবে। এছাড়া বন্যপ্রাণীর ছবি তুলতে যাঁরা পছন্দ করে থাকেন। তাঁরাও এখানে এসে অনেকটাই ভাল মতন করে কাছ থেকে বেশকিছু বন্য প্রাণীর ছবি তুলতে পারবেন।”
আরও পড়ুনঃ ঝাড়গ্রাম বেড়াতে গেলেই সকলে যান, কিন্তু এবারে সেখানে পৌঁছেই হতাশ সকলে, কী এমন হল! বিস্ময়
যদিও শীতের মরসুম শুরু হতেই বহু পাখিপ্রেমীদের আনাগোনা বেড়েছে এই জায়গায়। দিনের বিভিন্ন সময়ে বহু মানুষকে দেখা যাচ্ছে ক্যামেরা হাতে নিয়ে বাগানের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়াতে। অনেকে তো আবার রোজই আসছেন এই বাগানের নির্জনতাকে উপভোগ করতে। রকমারি আকর্ষণীয় দেখতে বিভিন্ন পাখির ছবিও তুলছেন তাঁরা। তাই শীতের দিনে শহরের কাছের এই ছোট্ট বাগানে ঘুরে আসতে পারেন।
Sarthak Pandit





