আরও পড়ুন: বাড়িতে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন বাবা, রোজগারের আশায় নেপালে গিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু
এই মাটি পরীক্ষার মাধ্যমে জমির গুনাগুন কেমন, কী কী জিনিস জমিতে দেওয়া প্রয়োজন এই সমস্ত বিষয়গুলি রিপোর্ট কার্ড আকারে কৃষকদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। সেই রিপোর্ট কার্ড দেখে কৃষকরা যেমন কোন ফসল চাষ করবেন সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন, তেমনই জমিতে কোন সার কতটা দিতে হবে সেগুলোও সহজে বুঝতে পেরে যাবেন।
advertisement
অন্যান্য জেলার মতো দক্ষিণ দিনাজপুরের কৃষকরাও এতদিন মাটি পরীক্ষা না করেই চাষ করতেন, নিজেদের অনুমান মত সার প্রয়োগ করতেন জমিতে। এতে ধীরে ধীরে জমির উর্বর ক্ষমতা কমছিল, নষ্ট হচ্ছিল তার ফসল উৎপাদনের দক্ষতা। এরপরই রাজ্য সরকার আদমি প্রকল্প এনে চাষের জমির গুনাগুন পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেয়।
জানা গেছে, সবজি চাষের জন্য সাধারণত দোআঁশ মাটি দরকার হয়। রোদ যাতে ভালোভাবে আসে সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। এমনকি যে জমিতে চারা লাগানাে হবে সেখানকার জমি ভালােভাবে কর্ষণ করে এবং প্রয়ােজনমতাে সার প্রয়ােগ করে জমি তৈরি করে রাখতে হবে। তার জন্য দরকার মাটি পরীক্ষা।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
মাটি পরীক্ষা করে কৃষকরা তাঁদের জমিতে উপস্থিত নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাশ ইত্যাদি উপাদানের সঙ্গে লবণের পরিমাণ সম্পর্কে তথ্য পেতে পারেন। এটি মাটির পিএইচ স্তরও দেখায়। মাটিতে উপস্থিত পুষ্টি উপাদান অনুযায়ী ফসল নির্বাচন করলে অধিক ফলন হয়। মাটিতে যে পুষ্টির অভাব রয়েছে তা পূরণ করে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করতে পারা সম্ভব হয়।
সুস্মিতা গোস্বামী