সর্প উদ্ধারকারী শুভ দে জানান, “ফোন মারফত খবর পাওয়া মাত্রই তাঁরা পৌঁছে গিয়েছিলেন এলাকায়। তারপর বাড়ির ভেতর থেকে সাপটিকে উদ্ধার করা হয়। তবে উদ্ধার করার পর বাড়ির লোকেরা যা বলেন। সেই কথা শুনে রীতিমতো অবাক হয়ে যান তাঁরা। বাড়ির লোকেরা জানান সাপটিকে তাঁদের বাড়ির আশেপাশের কোন জঙ্গলে ছাড়তে। সাপটি এলাকার সাপ। তাই তাঁকে দূরে কোথাও না ছাড়তে। বাড়ির আশেপাশের কোন জঙ্গলে ছাড়লে সে পরিবেশের উপকার করবে। তাই বাড়ির লোকেদের কথা অনুযায়ী তাঁরাও সাপটিকে বাড়ির পাশের একটি জঙ্গলে ছেড়ে দেন।”
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
বাড়ির এক সদস্য মালতী দাস জানান, “দাঁড়স সাপ একটি নির্বিষ সাপ। এটি বড় বড় পোকা এবং ইঁদুর খেয়ে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। তাই সাপটিকে এলাকার পরিবেশের মধ্যেই রাখা উচিত। এছাড়া সাপের গুরুত্ব রয়েছে পরিবেশে। তাই মানুষের উচিত এঁদের ক্ষতি না করা।” বন্যপ্রাণ অভিজ্ঞ ব্যক্তি অর্ধেন্দু বণিক জানান, “সাধারণ মানুষের উচিত এই ধরনের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বজায় রাখা বন্যপ্রাণের সঙ্গে। সাপেরা একেবারেই শান্ত স্বভাবের প্রাণী হয়। এছাড়া পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে সাপের গুরুত্ব রয়েছে অনেকটাই। তাই উদ্ধার হওয়া সাপ সেই লোকালয় ছাড়া অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ।”
যদিও বাড়ির সদস্যদের এই ধরনের প্রতিক্রিয়ায় রীতিমতো অবাক হয়েছেন এলাকার মানুষেরা। তবে বন্যপ্রাণ অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা বাড়ির মানুষদের বুদ্ধিমত্তার প্রশংসা করেছেন অনেকটাই। আগামী দিনে আরোও বহু মানুষ এভাবেই বন্যপ্রাণ সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করুক। এমনটাই পরামর্শ দিচ্ছেন জেলার বন্যপ্রাণ অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা। যদিও মানুষের মনের মধ্যে সাপ নিয়ে যে ভীতি রয়েছে। তা বর্তমান সময়ে বিভিন্ন সচেতনতা শিবিরের মাধ্যমে কাটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
Sarthak Pandit